৪ রানের দুর্দান্ত জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। শ্রীলঙ্কাকে ৬ ও নেদারল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারানোর পর সোমবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশকে হারায় প্রোটিয়ারা।
রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি। আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১১৩ রান করে। বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়ায় ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি। রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেসবে চোখ দেয়া যাক:
* টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১১৩ করতে পারে। ২০ ওভার পুরো ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে এ রান তোলে প্রোটিয়ারা। যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রান ছিল ৪ উইকেটে ১৪৮। ২০১৫ সালে মিরপুরে ওই রান করেছিল তারা।
* শুধু সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ নয়, সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৪ রান টার্গেট ছিল বাংলাদেশের। শান্ত, সাকিবরা ১০৯ রানের বেশি করতে পারেননি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৬ রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতেছিল।
* দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এতো কম পুঁজিতে জিততে পারেনি আর কোনো দল। ২০১৪ সালে নিউ জিল্যান্ড ১২০ রান তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচ হেরেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিই ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম ডিফেন্ড করা স্কোর।
* বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি টানা নবম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি টানা ম্যাচ জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। টানা ১০ জয় আছে কিউইদের। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পাকিস্তানেরও টানা জয় আছে ৯টি।
* টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫ রানের কমে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আছে চারটি। ১, ২ এবং৩ রানে জয় আছে তাদের। এবং সবশেষ আজ ৪ রানে জয় যুক্ত হলো। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সবকটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০০৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে মাত্র ১ রানে জয় পেয়েছিল তারা। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে নিউ জিল্যান্ডকে হারায় ২ রানে। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় ৩ রানে। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানে। বিশ্বের আর কোনো দল ৫ রানের নিচে এতো বেশি জয় পায়নি।