সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সাকিব ৪৫ ইনিংস খেলেছেন। সেখানে তার গড় ১৯, ২৪, ৪৬ ও ১১। ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেখানে সাকিবকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, সেখানে তিনি ১৩১ ও ৪৪ রান করেছিলেন কেবল।
এবারের বিশ্বকাপেও সুবিধা করতে পারছেন না তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। আর ব্যাট হাতে ১৪ বল খেলে মাত্র ৮ রান করে আউট হন।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। এরপর দলের অতীব প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে অহেতুক পুল শর্ট খেলতে গিয়ে আউট হন। যা তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে কোনোভাবেই প্রত্যাশা করা যায় না।
বিষয়টি নজর এড়ায়নি ভারতের সাবেক অধিনায়ক বীরেন্দ্রর শেবাগের। তিনি সাকিবকে সমালোচনা করে ধুয়ে দিয়েছেন। শেষে তিনি সাকিবকে লজ্জিত হয়ে অবসর নেওয়ারও আহব্বান জানিয়েছেন।
শেবাগ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের প্রয়োজনীয়তা অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। বিশেষ করে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সে অনেকদিন বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেছে। সে খুবই সিনিয়র একজন খেলোয়াড়। কিন্তু তারপরও যদি তার রান সংখ্যা এমন হয়, তাহলে তার বিষয়টি নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত। আসলে তার বোঝা উচিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সে আর চলে না এবং অবসর ঘোষণা করা উচিত।’
‘সাকিবের কাছে দলের অনেক প্রত্যাশা থাকে। সেটা কিন্তু ভুল না। কারণ, সে প্রথম বিশ্বকাপ থেকেই খেলছে। যখন দল বিপদে থাকে তখন তরুণ খেলোয়াড়রা আশা করে সে হাল ধরবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারার পর সাকিব বলেছিল যে, এটা তাদের জন্য সতর্কবার্তা (ওয়েক আপ কল)। ১৫ বছর ক্রিকেট খেলার পরও যদি এমন কথা বলে তাহলে বুঝেন যে সে কি পরিমাণ ঝিমাচ্ছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অহেতুক শট খেলে আউট হওয়ায় সাকিবের সমালোচনা করে শেবাগ বলেন, ‘তাকে যদি অভিজ্ঞতার কারণে দলে নেওয়া হতো তাহলে এমন কিছু দেখতে হতো না। এই উইকেটে তার উচিত ছিল অন্তত কিছুটা সময় নেওয়া। এমন না যে তুমি হেইডেন কিংবা গিলক্রিস্ট, যারা শর্ট বলে পুল শট খেলতে পারে। তুমি বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড় মাত্র। তোমার মান অনুযায়ী খেলো। যখন তুমি হুক কিংবা পুল খেলার যোগ্য নও, তখন কেবল স্ট্রোক খেলো যেটা তুমি পারো।’