বাংলাদেশ: ১০৬/৯ (১৯.২ ওভার)
নেপাল: ৮৫/৮ (১৯.২ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী।
শেষ ওভারে সাকিব এসে দুই বলে দুই উইকেট নেন। বাংলাদেশ ২১ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে তিনটিতে জিতে ডি গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বাংলাদেশ কম রান করে বিশ্বকাপে জয়ের রেকর্ড গড়ে। সুপার এইটে বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। তানজীম মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। মোস্তাফিজ ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এই দুই পেসার ৮ ওভারে ১৪ রানে নেন ৭ উইকেট। নেপাল ডট খেলে ৮০ বল! ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। বিশ্বকাপে আগের তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন কুশল। ২৫ রান করেন দীপেন্দ্র। ১৭ রান করেন আসিফ। পাঁচ জন রানের খাতা খুলতে পারেননি। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি।
১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের উইকেট মেডেন
১২ বলে প্রয়োজন ২২ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে এসে কোনো রান না দিয়ে ফেরান সেট ব্যাটার দীপেন্দ্রকে। পাঁচ বলে ব্যর্থ হয়ে শেষ বলে খোঁচা দিয়ে বসেন। ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ৬ বলে প্রয়োজন ২২ রান।
প্রথম বলে ছক্কা খেয়ে পঞ্চম বলে তাসকিনের উইকেট
প্রথম বলে দীপেন্দ্র ৬ হাঁকান। পঞ্চম বলে তাসকিন ফেরান গুলশানকে। ৮৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে নেপাল। ২ ওভারে প্রয়োজন ২২ রান। একমাত্র হুমকি হয়ে ক্রিজে আছেন দীপেন্দ্র।
কুশল-দীপেন্দ্রর জুটি ভেঙে স্বস্তি আনলেন মোস্তাফিজ
আগের ওভারে মাহমুদউল্লাহকে একটি করে ছয়-চারে চোখ রাঙিয়েছিলেন কুশল। ১৭তম ওভারে এসে তাকে ফেরান মোস্তাফিজ। উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন। দারুণ ক্যাচ নেন শান্ত। ৪০ বলে ২৭ রান করেন তিনি। তার আউটে ভাঙে ৫২ রানের জুটি। ক্রিজে দীপেন্দ্রর সঙ্গী গুলশান।
উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
৪৮ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়ে এগোচ্ছেন কুশল-দীপেন্দ্র। ৫ ওভারে নেপালের প্রয়োজন ৪২ রান। কুশল ১৪ ও দীপেন্দ্র ১৭ রানে ব্যাট করছেন। উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ।
৪ ওভারে ৭ রানে তানজীম সাকিবের ৪ উইকেট
তানজীমের চতুর্থ উইকেট! পয়েন্টে রিশাদের হাতে তুলে দেন সন্দীপ। ৮ বলে ১ রান করেন তিনি। ৪ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এটা তার ক্যারিয়ার সেরা। এর আগে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তানজীমের তোপে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারায় নেপাল। আইরি-মাল্লা প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
শততম ম্যাচে প্রথম উইকেট
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসেন শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মোস্তাফিজ। প্রথম বলে তানজীমের ভুলে চার হয়। চতুর্থ বলে দেখা পান উইকেটের। কাভারে ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন সাকিবের হাতে। দুবারের চেষ্টায় ক্যাচ নেন শট কাভারে দাঁড়ানো সাকিব। আসিফ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন। ক্রিজে জোরার সঙ্গী মাল্লা।
দুর্দান্ত তানজীম
তানজীমের করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বল। বোল্ড বুর্থেল। ৮ বলে ৪ রান করেন তিনি। এক বল ডট দিয়ে ফেরান অনীলকে। মিড অফে দারুণ ক্যাচ ধরেন শান্ত। শূন্য রান করেন অনীল। পঞ্চম ওভারে এসে আরও একটি উইকেট নেন তানজীম। এবার ফেরান ভারত অধিনায়ককে। শর্ট ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। ক্যাচ নেন রিশাদ। ১ রান করেন তিনি। ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে তানজীম নেন ৩ উইকেট।
ঈদের সকালে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বাজে রেকর্ড
১০৬ রানে অল আউট বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে অ্যাসোসিয়েট কোনো দেশের বিপক্ষে এটা টাইগারদের সর্বনিম্ন রান। প্রথম বল থেকে বাংলাদেশ উইকেট হারানো শুরু করে। পাওয়ার প্লেতে ফেরেন চার ব্যাটার। যোগ হয় মাত্র ৩১ রান। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝে মরার উপর খাঁড়ার গা হয়ে আসে মাহমুদউল্লাহর রানআউট। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন সাকিব। ১৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ-রিশাদ। জাকের ১২ ও লিটন ১০ রান করেন। শেষ দিকে তাসকিনের ১২ রানে ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ। নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন কামি, আইরি, রোহিত ও লামিচানে।
আশা দেখিয়ে রিশাদের নিরাশা
আগের ওভারে ছক্কা-চারে হাসি ফুটিয়েছিলেন রিশাদ। ১৮তম ওভারে আর পারেননি। প্রথম বলে আইরিকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শটে কোনো জোর ছিল না। লং অফে ধরা পড়েন ৭ বলে ১৩ রান করে। ক্রজে শেষ ব্যাটার হিসেবে তাসকিনের সঙ্গী হলেন মোস্তাফিজ।
জাকেরকে বোল্ড করে লামিচানের সেঞ্চুরি
জাকের আলীকে বোল্ড করে লামিচানের সেঞ্চুরি। ৫৪ ম্যাচে তিনি শততম উইকেটের দেখা পান। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে তার আউটে আরও বিপাকে বাংলাদেশ। ২৬ বলে ১২ রান করেন তিনি। সতর্কতার সঙ্গে খেলে ইনিংস শেষ করে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লামিচানের গুগলিতে পরাস্ত হন এই ব্যাটার। ক্রিজে রিশাদের সঙ্গী তাসকিন।
বোল্ড তানজীম
রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান লামিচানের করা আগের বলে, পরের বলে বোল্ড তানজীম। সাকিবের পর উইকেটের মিছিলে এবার তানজীম। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি। ৬৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী রিশাদ।
পারলেন না সাকিব
উইকেটের মিছিলে এবার সাকিব। ২২ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রোহিতের ঘূর্ণিতে আটকা পড়েন তিনি। পিচ করেই হাল্ক বাঁক খেয়ে আঘাত করে সাকিবের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ ৬১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায়। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তানজীম।
সাকিবের ভুলে রানআউট মাহমুদউল্লাহ
সাকিবের শট মিড অফে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে গেলেও দৌড় দেন তিনি। অপর প্রান্তে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহও ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে যান। তাতেই ভুল হলো। সাকিব বল ফিল্ডারের হাতে থাকায় ফিরে যান, কিন্তু ক্রিজের মাঝামাঝি চলে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ পারেননি। রানআউট হন তিনি। দারুণ ইনিংসের আভাস দেওয়া মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ১৩ রানে। ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী জাকের। এখন এই জুটিই বাংলাদেশের ভরসা।
পাওয়ার প্লেতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ
এবার পরপর লিটন-তাওহীদ আউট। এ যেন আসা যাওয়ার মিছিল। শুরুতে বিদায় নিয়েছেন তানজীদ-শান্ত। লিটন জীবন পেয়েও জীবন লম্বা করতে পারলেন না। পঞ্চম ওভারে কামিকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি। পরের ওভারে বিদায় নেন নতুন ব্যাটার তাওহীদ। লামিচানের ঘূর্ণিতে সুইপ শট খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন তাওহীদ। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
ধারাবাহিক ‘অধারাবাহিক’ শান্ত
৪ রানে বোল্ড শান্ত। ৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। দীপেন্দ্র আইরির অফ স্পিনে পরাস্ত শান্ত। আউটসাইড অফে পড়া ফুলিশ নেন্থ বল রক্ষণাত্বক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু ব্যাট-প্যাডের মাঝে ছিল ফাঁকা জায়গা, সেটি দিয়ে বল আঘাত হানে সরাসরি স্ট্যাম্পে। ৫ বলে ৪ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ধারাবাহিকভাবে অধারাবাহিক শান্ত। চার ম্যাচে তার রান ৭, ১৪, ১ ও ৪। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী সাকিব।
রিভিউতে লিটনের রক্ষা
শান্ত ক্রিজে এসে চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিলে লিটন পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পান। প্রথম বল ডট দিলেও দ্বিতীয়টি লাগে পায়ে। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল চলে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে। বেঁচে যান লিটন।
প্রথম বলেই উইকেট
প্রথম বলেই উইকেট হারালো বাংলাদেশ! সম্পাল কামির প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে চেয়েছিলেন তানজীদ। টাইমিংয়ে গড়বড়ে বল যায়নি বেশিদূর। কযাচ ধরেন কামি নিজেই। আগের ম্যাচে দারুণ শুরু এনে দেওয়া তানজীদ এবার ফিরলেন গোল্ডেন ডাক মেরে। ক্রিজে নতুন ব্যাটার শান্ত। সঙ্গী লিটন।
টস
‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে ম্যাচটি। টস হেরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, জাকের আলী, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নেপাল একাদশে এক পরিবর্তন
এক পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে নেপাল। কারান কেসির পরিবর্তে একাদশে এসেছেন জোরা, কুশল ভুর্টেল, আসিফ শেখ , রোহিত পাউডেল (অধিনায়ক), অনিল সাহ, দীপেন্দ্র সিং আইরি, কুশল মাল্লা, গুলসান ঝা, সোমপাল কামি, সুদীপ জোরা, সন্দীপ লামিচানে, অবিনাশ বোহারা।
ঈদ আনন্দ দিগুণের মহারণ
রোববার সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ইসলাম ধর্মাবলম্বী সকলে এদিন ত্যাগের মহিমায় উৎসবে শামিল হবে। এদিন বাংলাদেশ সময় কাকডাকা ভোরে সদূর ক্যারিবিয়ানে বিশ্বকাপের মঞ্চে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ক্রিকেটাররা একদিন আগে ঈদ পালন করেছেন। এবার হাজার মাইল দূর থেকে বাংলাদেশকে উৎসবের দেশে রূপান্তর করার পালা।
লক্ষ্য একটাই সুপার এইট
সুপার এইটে যেতে হলে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজ। নেপালকে যেকোনো ব্যবধানে হারাতে পারলেই ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার এইটে। হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। শ্রীলঙ্কা জিতলে রান রেটের হিসেব ছাড়া বাংলাদেশ যাবে সেরা আটে। আর নেদারল্যান্ডস জিতে গেলে এবং কমপক্ষে ৫৩ রানের মার্জিনে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলে রান রেটে ডাচরা এগিয়ে গিয়ে চলে যাবে সুপার এইটে।
একমাত্র দেখায় বাংলাদেশের হাসি
নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রথম ও একমাত্র দেখা ২০১৪ সালে। যে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৮ উইকেটে। তবে সেই দলটা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় তারা হারিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য কাজটা সহজ হবে না।
অতীত যেন ফিরে না আসে
২০০৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কিংসমিডে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও কানাডা। রাত পোহালেই ঈদ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেদিন কানাডার ছুঁড়ে দেয়া মাত্র ১৮০ রান তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ। ঈদের আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যায় বাংলাদেশিদের। ২০১৯ বিশ্বকাপে ঈদের দিনই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। ওভালে সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি।