বাংলাদেশ: ১৪০/৮ (২০ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া: ১০০/২ (১১.২)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইন)
১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১.২ ওভারে শতরান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টির বাগড়ায় আর ম্যাচ শুরু হওয়া সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে অজিরা। ওয়ার্নার ৫৩ ও ম্যাক্সওয়েল ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩১ রান করেন হেড। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিশাদ। এর আগে কামিন্সের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ১৪০ রানে থামে। কামিন্স ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন।
বারবার বৃষ্টির হানা, হারের পথে বাংলাদেশ
তাসকিন আহমেদকে ছক্কা মেরে ওয়ার্নার দেখা পান ফিফটির। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন ম্যাক্সওয়েলকে। এরপর আবার বৃষ্টির বাধা। ৩৪ বলে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফট হাঁকান ওয়ার্নার। ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গে ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ম্যাক্সওয়েল। জয়ের জন্য অজিদের প্রয়োজন ৫২ বলে ৪১ রান। আর খেলা না হলেও অজিরা বৃষ্টি আইনে বড় ব্যবধানে জিতবে। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ।
বৃষ্টির পর রিশাদের জোড়া আঘাত
ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটিতে শুরুতে ঝড় তুলে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ফেলে দেন হেড। পাওয়ার প্লেতে দুজনে যোগ করেন ৫৯ রান। পাওয়ার প্লের পর দুই বল না জতেইএ আসে বৃষ্টি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে খেলা শুরু হয়। রিশাদের পঞ্চম বলে বোল্ড হন হেড। ২১ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তার আউটে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি মার্শ। রিশাদের দ্বিতীয় ওভারে পরাস্ত হন তিনি। বল পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বাংলাদেশের পক্ষে আসে। মার্শ ৬ বলে ১ রান করেন। ক্রিজে ওয়ার্নারের সঙ্গী ম্যাক্সওয়েল।
ওয়ার্নার-হেডের ঝড়ের পর অ্যান্টিগায় বৃষ্টির হানা
পাওয়ার প্লে-তে ৫৯ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ো শুরু। হেড ১৯ বলে ৩০ ও ওয়ার্নার ১৭ বলে ২৮ রানে ব্যাট করছেন। অর্ধেক রানই দিয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ। দুজন দুই ওভারে দেন ২৮ রান! তাসকিন ১৫ ও মোস্তাফিজ দেন ১৩ রান। ৩ ওভার করে ২১ রান দেন শেখ মেহেদী। তানজীম ১ ওভারে দেন ৯ রান। তার ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ মিস হয়। পাওয়ার প্লে শেষে ২ বল না হতেই আসে বৃষ্টি।
৫ রানে ওয়ার্নারকে জীবন দিলে হৃদয়
শেখ মেহেদীকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ৫ রান দেন তিনি। তানজীম সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের সুযোগ আসলেও কাজে লাগাতে পারেনি। আউট সাইড অফের বল পয়েন্টে খেলেন ওয়ার্নার। নীচু হয়ে আসায় বলে ধরেও মুঠোবন্দি করতে পারেনি হৃদয়। ওয়ার্নারকে শুরুতে আউট করতে পারলে চাপ তৈরি করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু হতে হতেও হলো না। হেডকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন ওয়ার্নার।
১৪০ রানে থামলো বাংলাদেশ
শান্ত-হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে ১৪০ রানে থামলো বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। হৃদয় করেন ৪০ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে কামিন্স হ্যাটট্রিক না করলে আরও কিছু রান বাড়তে পারতো। লিটন ১৬ আর শেষে তাসকিন ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কামিন্স ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন অ্যাডাম জম্পা।
বিশ্বকাপে সপ্তম, চলতি আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক
১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে কামিন্সকে পুল করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বল ব্যাট হয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। শেষ বলে ক্রিজে এসেই ফেরেন বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগ পাওয়া মেহেদী। আপার কাট করতে গিয়ে ধরান পড়েন তিনি। এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরান দুর্দান্ত খেলতে থাকা হৃদয়কে। স্কুপ করতে চেয়েছিলেন, ধরা পড়েন হ্যাজলউডের হাতে। ২৮ বলে ৪০ রান করা হৃদয়ের আউট বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তির। চলতি আসরে প্রথম ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সপ্তম হ্যাটট্রিক এটি। চতুর্থ অজি বোলার হিসেবে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান কামিন্স। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।
হৃদয়ের ঝড়ের মাঝে পরপর আউট মাহমুদউল্লাহ-মেহেদী
আগের ওভারে দুই ছক্কায় ১৪ রান নেন হৃদয়। পরের ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে আবার চাপে বাংলাদেশ। কামিন্সের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে ৩ বলে ২ রান আসে। এরপর ক্রিজে এসে প্রথম বলে ফেরেন শেখ মেহেদী। আপার কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন অ্যাডাম জাম্পার হাতে।
বাংলাদেশের একশর পর সাকিবের বিদায়
মাঝে লিটন-শান্তদের উইকেট পতনে বাংলাদেশের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। ১৫.৩ ওভারে বাংলাদেশ ১০০ রান করে। দলের শতরানের পর বিদায় নেন সাকিব। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
৩৬ বলে ৪১ রান করে শান্তর বিদায়
প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ২৬। অধিনায়কের এমন পারফরম্যান্সে চারদিকে সমালোচনার রব। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে জ্বলে উঠলেন শান্ত। বিপদের মুহুর্তে ব্যাটিংয়ে এসে পালটা আক্রমণে প্রতিরোধ গড়েন। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন ৫৮ রানের। লিটনের বিদায়ের পরও সাবলীল দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ফিফটি থেকে ৯ রান দুরে থেকে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪১ রান। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী সাকিব।
রিশাদের বাজি ব্যর্থ
৫৮ রানের জুটির পর হিটিংয়ের জন্য রিশাদকে চারে পাঠায় ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এই বাজি কাজে আসেনি। ৪ বল খেলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। ম্যাক্সওয়েলকে স্লগ করতে চেয়েছিলেন, ব্যাটে-বলে এক হয়নি। মিস টাইমিংয়ে বল চলে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে। ক্যাচ নেন জাম্পা। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৬৭। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হৃদয়।
লিটনের বিদায়
শুরু থেকে খুব সাবধানী ব্যাটিং করেছেন লিটন। অস্ট্রেলিয়ার পেস ত্রয়ীর বিপক্ষে যদিও শুরুতে সুবিধা করতে পারেননি। ধীরে ধীরে সাবলীল হওয়ার আভাস দেন। ততক্ষণে বল-রানের পার্থক্য বড় হচ্ছিল। নবম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল নিচু হয়ে ঢোকে স্ট্যাম্পে। ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। লিটন ২৫ বলে ১৬ রান করেন। ক্রিজে আসেন রিশাদ। তাকে নিয়ে বাজি ধরেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
শান্ত ঝড়ে ধাক্কা সামলে ফিফটির জুটি
স্টয়নিসের এক্সট্রা বাউন্স দারুণ কাজে লাগিয়েছেন শান্ত। যদিও একটু এদিক সেদিক হলে বিপদ ঘটতে পারতো। কাট করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চার হয়ে যায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ বলে ফিফটির জুটি পার করে এই চারের মারে। ১৪০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করছেন শান্ত। অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন। শান্ত ২২ বলে ৩১ ও লিটন ২৩ বলে ১৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
শান্ত-লিটনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে-তে স্বস্তি
চার মেরে শান্ত রানের খাতা খুললেও অন্যপ্রান্তে লিটন ছিলেন নিস্প্রভ। বাংলাদেশ অধিনায়ককে আজ সাবলীল দেখা যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। ১০ বলে এসে সিঙ্গেল নিয়ে রানের দেখা পাওয়া লিটন চতুর্থ ওভারে দুই চারে লিটন কিছুটা কাভার করেন। দুজনে শূন্য রানে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে পাওয়ার প্লে-কাটিয়ে দেন বিপদ ছাড়া। প্রথম চার ওভারে মাত্র ১৭ রান আসলেও, শেষ দুই ওভারে নেন ২২ রান! পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৯ রান।
তৃতীয় বলে শূন্য রানে বোল্ড তানজীদ তামিম
ওপেনিং জুটির বয়স মাত্র ৩ বল! লিটনের সঙ্গী তানজীদ স্ট্রাইক নেন। মিচেল স্টার্কের প্রথম দুই বল ভালোভাবেই ডিফেন্স করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তৃতীয় বলে গড়বড়। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল নিচু হয়ে আসে। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ভেঙে দেয় উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন তানজীদ, শূন্য রানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী শান্ত। স্টার্ককে ওভারের শেষ বলে রানের খাতা খোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন
১৫ মিনিট দেরিতে হয় টস। বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাটিং করবে। বাংলাদেশ একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। জাকের আলী অনিকের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শেখ মেহেদী। কন্ডিশন বিবেচনায় এনে দলে স্পিন শক্তি বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।
টসের আগেই বৃষ্টির হানা
নির্ধারিত সময় ভোর ৬টায় টস অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কারণ একটাই, অ্যান্টিগায় বৃষ্টি ঝরছে। স্বস্তির বিষয় হলো, বৃষ্টির তীব্রতা একবারে হালকা বলে জানিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
মুখোমুখি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ ওয়ান থেকে দুই দলের এটি প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে।
হেড টু হেড
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে দশ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় চারটিতে। সবগুলোই মিরপুরে। বিশ্বকাপে পাঁচবার দেখায় বাংলাদেশ কখনোই হারাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াকে।
গড় মাত্র ১১৮!
সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচেই রান হয়েছে। অ্যান্টিগুয়াতে রান হয় নাকি সেটাই দেখার। যদিও স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে গড় রান কেবল ১১৮। পেসার ও স্পিনাররা পেয়ে থাকে সমান সুবিধা। অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে অঘটন নিয়মিতই ঘটে। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ তেমন কিছু করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।