৪ নাকি ৬, সাকিব আল হাসান ভারতের বিপক্ষে কোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামবেন? বিশ্বকাপে সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুক্ষণ পরই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চরম বাজে ক্রিকেট খেলে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব।
এজন্য দলের সেরা ক্রিকেটারকে ‘বেশি সময়’ ব্যাটিংয়ে চান তামিম। সেজন্য সাকিবকে ব্যাটিং অর্ডারের তিন কিংবা চারে দেখতে চান তামিম। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছেন, ‘সে (সাকিব) বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়। বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও সে। আপনার বড় খেলোয়াড়কে অবশ্যই বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে হবে। সে এটা অতীতেও করেছে। বাংলাদেশের জন্য সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। ব্যাটিংয়ে যদি তার সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে তাকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে উঠে আসতে হবে এবং নিজেকে বেশি ওভার খেলার সুযোগ দিতে হবে।’
‘এভাবেই সে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করছে। তাহলে কেন সাকিবকে তিন বা চার নম্বরে পাঠিয়ে থিতু হওয়ার সময় দেওয়া হবে না? বিশ্বের যেকোনো সেরা বোলিংয়ের বিপক্ষে পাল্টা আক্রমণ করার মতো অভিজ্ঞতা তার আছে।’ - যোগ করেন তামিম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিব নেমেছিলেন ৬ নম্বরে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওই পজিশনে খেলেছিলেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে ৪ এ নেমেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে সাকিব কোথায় ব্যাটিং করেন সেটাই দেখার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিবকে বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের বিপক্ষে সাকিব হতে পারেন দারুণ ম্যাচ-আপ, এমনটাই মনে করেন তামিম। সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে তার রেকর্ড ভালো থাকায় তার থেকে পুরো ৪ ওভার বোলিং চান তামিম,
‘ভারতীয় দলে কয়েকজন খেলোয়াড়ই আছে যারা সাকিবের জন্য দারণ ম্যাচ-আপ। আপনি রোহিত এবং বিরাটের (কোহলি) কথা ভাবতে পারেন। ভারতের হয়ে এই মুহূর্তে যে রান করছে, সেই সূর্যকুমার যাদবকেও সাকিব শেষ দুবার আউট করেছে। একবার অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং আরেকবার এশিয়া কাপে। অন্য প্রান্তে তাই পন্ত থাকলেও সাকিবের ৪ ওভার বল করা উচিত, কারণ সে আপনার সেরা বোলার।’