সেমি ফাইনাল ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খানকে ভর্ৎসনা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার ভোরে ত্রিনিদাদে প্রথম সেমি ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।
প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তান উঠেছে সেমি ফাইনালে। বাংলাদেশকে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৮ রানে হারিয়ে রূপকথার গল্প লিখে সেমি ফাইনালে নাম লিখায় আফগানিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে আইসিসির নিয়ম ভেঙেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খনি। সেজন্য শাস্তির আওতায় আসতে হয়েছে তাকে।
শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ের সময় সতীর্থ করিম জানাতকে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন রশিদ। বল মিড অনে পাঠিয়ে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা ছিল তার। কিন্তু করিম এক রানেই সন্তুষ্ট থাকেন। মাঝ ক্রিজে গিয়ে ফেরত আসায় মেজাজ হারিয়ে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন রশিদ। যা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৯ ধারা লঙ্ঘন।
আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনার সাথে রশিদের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে যুক্ত হয়েছে এক ডিমেরিট পয়েন্ট। ২৪ মাস সময়ে এটা রশিদের প্রথম নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা। আফগানিস্তানের অধিনায়ক অভিযোগ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
উল্লেখ্য, লেভেল ১ এর নিয়ম ভঙ্গের সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ১ বা ২ ডিমেরিট পয়েন্ট।
২৪ মাস সময়ে যখন একজন ক্রিকেটার ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটা সাসপেনশন পয়েন্ট হয়ে যায় এবং তিনি নিষেধাজ্ঞা পান। ২ সাসপেনশন পয়েন্টে ১ টেস্ট বা ২ ওয়ানডে বা ২ টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হন ক্রিকেটার। ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকে ২৪ মাস সময় পর্যন্ত।