খেলাধুলা

ইংলিশদের উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত

টসের আগে থেকে গায়ানার আগে থেকে ঝরেছে বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। বাড়তি সময় বরাদ্ধ থাকলেও নেই রিজার্ভ ডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হবে কী না; এই নিয়ে ছিল জোরবার আলোচনা। দফায় দফায় বৃষ্টি-বাধা কাটিয়ে মাঠে গড়িয়েছে খেলা, কিন্তু ভারত বাধা পেরোতে পারেনি   ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

ইংলিশদের উড়িয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ভারত। ৬৮ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোহিত শর্মার দল। ২৯ জুন ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টির মহারণে ভারতের এটি তৃতীয় ফাইনাল। ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হলেও ২০১৪তে পারেনি দেশটি। এর আগে আফগানিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে প্রথমবার ফাইনালে নাম লেখায় প্রোটিয়ারা।

টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। জস বাটলার মনে হয় প্রথম ভুলটি করেন এখানে। ব্যাটিং করতে নেমে ভারত ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে। তাড়া করতে নেমে অক্ষর প্যাটেল-কুলদীপ যাদবের ভেলকিতে ১৬.৪ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের নক আউট এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে হার আছে মাত্র ১টি। ৭৪ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়স্ট ইন্ডিজ।

অথচ তাড়া করতে নেমে চারটি চারের মারে বাটলার দিয়েছিলেন দাপুটে ক্রিকেটের বার্তা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে অক্ষরকে সুইপ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন। এই যে ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড, আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৫ বলে ২৩ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

বাটলারের আউটের পর শুরু হয় ইংলিশ ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। শুরুর চার ব্যাটারের তিনজকেই ফেরান অক্ষর। মাঝে কুলদীপ ছিলেন ভয়ংকর। টানা তিন ওভারে তিন উইকেট নিয়ে কার্যত ইংলিশ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন।

সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন হ্যারি ব্রুক। শেষ দিকে ২১ রান করে হারের ব্যবধান কমান জোফরা আর্চার। লিয়াম লিভিংস্টোন-আদিল রশিদের রানআউটে ২০ ওভারও শেষ করতে পারেনি গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

অক্ষর-কুলদীপ দুজনে সমান ৩টি করে উইকেট নেন। অক্ষর ২৩ ও কুলদীপ ১৯ রান দেন। সঙ্গে ব্যাট হাতেও অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান অক্ষর। জাসপ্রীত বুমরাহ নেন ২ উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতো শুরুতে  বিরাট কোহলির উইকেট হারায় ভারত। গ্রুপপর্ব, সুপার এইটের পর সেমিফাইনালেও ব্যর্থ কোহলি। তার আউটের ধাক্কা সামলে না উঠতেই ঋষাভ পন্তের উইকেট হারায় ভারত।

শুরু থেকে কর্তৃত্ব দেখিয়ে ব্যাটিং করতে থাকা রোহিত হাল ধরেন সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে। তৃতীয় উইকেটে রোহিত ও সূর্যকুমারের ব্যাটে ভারত চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায়। রোহিত ৩৯ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ ও সূর্য ৩৬ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। মাত্র ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন দুজনে। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৩, জাদেজা ২ চারে ১৭ ও অক্ষর ১ ছক্কায় করেন ১০ রান।

বল হাতে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার জর্ডান। তিনি ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন রিচ টপলে, জোফরা আর্চার, স্যাম কারান ও আদিল রশিদ।