খেলাধুলা

৮ বছর পর শেষ আটে অপ্রতিরোধ্য জার্মানি 

বজ্রপাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও বিভ্রান্ত হয়নি জার্মানি। মাঠ জুড়ে দাপট ছিল জার্মানদের। শুধু গোলটা হচ্ছিল না। পেনাল্টি থেকে রেকর্ড গড়ে গেরো ছুটান কাই হাভার্টজ। এরপর দৃশ্যপটে জামাল মুসিয়ালা। তাতে ডেনমার্কের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে ইউরোর শেষ আট নিশ্চিত করে স্বাগতিক জার্মানি। 

ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় জার্মানি-ডেনমার্ক। ২-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানি। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় দ্য টিম খ্যাত জার্মানরা। 

প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে এসে প্রথম গোলের দেখা পায়। রাউমের ক্রস ডি বক্সে অ্যান্ডারসেনের আঙুলে লাগে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিক শিবির। 

৫৩ মিনিটে কাই হাভার্টজ বাঁ দিকে বারঘেষা শটে লক্ষ্যভেদ করেন। ইউর্গেন ক্লিন্সম্যান ও মারিও গোমেজের পর ইউরোতে জার্মানির সর্বোচ্চ গোলদাতা হাভার্টজ। তার গোল সংখ্যা ৪টি। এক আসরে বাকি দুজনের ৪টি করে।  

অথচ ৩ মিনিট আগে গোল হজম করেছিল জার্মানি। ড্যানিশদের ভাগ্য আটকে দেয় ভিডিও অ্যাসিট্যান্ট রেফারির। গোল বাতিলের পরেই যেন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। 

৬৮ মিনিটে গোলের নায়ক ২১ বছর বয়সী মুসিয়ালা। স্কলটারবেকের লং পাস পেয়ে বাঁ দিকে দিয়ে ঢুকে যান এই তরুণ তুর্কী। গোলরক্ষককে একা পেয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে দ্বিতীয়বারের মতো বল জালে জড়ান। ২১ বছর বয়সে তার থেকে বেশি গোলের কৃতিত্ব শুধু ওয়েন রুনির। মুসিয়ালার এখন পর্যন্ত ৩টি আর রুনির ৪টি। 

পুরো ম্যাচে ২৪টি শট নিয়েছে জার্মানি। বিপরীতে ড্যানিশদের শট মাত্র ১৩টি। বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে জার্মানি। তাদের দখলে বল ছিল ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময়।