খেলাধুলা

ক্রিকেটে ফিরতে আফগান নারীদের আকুতি

ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে সেমিফাইনাল খেলেছে দেশটি। তবে আফগানিস্তানে পুরুষ ক্রিকেট দল থাকলেও নারী ক্রিকেটের অস্তিত্ব নেই। দেশটিতে তালেবান শাসন ফিরে আসার পর বিলুপ্ত করা হয় নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে চান আফগান নারীরা। তারা আইসিসির কাছে মাঠে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।

আইসিসির কাছে আবেদনে আফগান নারীরা উল্লেখ করেছেন, তাদেরকে যেন অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক শরণার্থী দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আইসিসি বরাবর একটি খোলা চিঠিতে নিজেদের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছে আফগান নারীরা।

তালেবান সরকার শাসনে ফেরার পর দেশটিতে নারী ক্রিকেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরুষ ক্রিকেট দলের সাফল্যের পর দেশটির নারী ক্রিকেটারদের অধিকার নিয়ে আলোচনা আবারও নতুন মোড় নিয়েছে। 

চিঠিতে শুরুতেই বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য পুরুষ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নারীরা। সেখানে তাঁরা লিখেছেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের চুক্তিভুক্ত নারী ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠায় রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন পুরুষ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাই। আমরা তাদের অর্জনে গর্বিত।’

‘তবে দুঃখ এটিই, আমরা নারী হওয়াতে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারছি না। আমরা আইসিসিকে অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের একটি শরণার্থী ক্রিকেট দল গঠনের অনুরোধ জানাচ্ছি। যে দলটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের সকল নারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’- আরও যোগ করেন তারা।

তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটির নারী ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে তারা অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন। সেখানের বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। তাঁরা আইসিসির কাছে আবেদনে জানিয়েছে, শরনার্থী হিসেবে তাদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়ার। 

চিঠিতে আফগান নারী ক্রিকেটাররা আরও লিখেছেন, ‘আমরা এই শরণার্থী দলটির মাধ্যমে পৃথিবীর সামনে প্রতিভার প্রমাণ রাখবো। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস করা নারীদের আশার আলো দেখাবো। আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি কী অমানবিক আচরণ হচ্ছে, সেটি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরবো। আমরা আফগানিস্তান পুরুষ দলের মতোই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা রাখি।’