খেলাধুলা

লিসান্দ্রোর গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে লিওনেল মেসির খেলার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবুও আশার আলো দেখিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। শেষমেশ মাঠেও নামলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। দলকে এগিয়ে নিতেও সাহায্য করলেন। কর্নার থেকে তার ফ্রি-কিকে গোল করে প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে রাখলেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। 

ম্যাচের শুরুতেই বল নিজেদের দখলে রেখে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। তাতে ৬৫ শতাংশ সময় বল ছিল মেসিদের পায়ে। তবে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে বেশি শট নেওয়ার সুযোগ পায়নি স্কালোনির দল। মাত্র ৪টি শট নিয়ে ১টি লক্ষ্যে রেখে সেটাতেই গোল আদায় করে নেয় তারা। বিপরীতে ৩৫ শতাংশ বল পায়ে রেখে ৩টি শট নিয়ে ১টি লক্ষ্যে রাখে ইকুয়েডর।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও প্রথম আক্রমণ করে ইকুয়েডর। ম্যাচের পঞ্চাদশ মিনিটে ময়েসেজ কালসেডোর বাড়ানো পাসে জেরেমি সারমিয়েন্তোর রুখে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরক্ষণেই লক্ষ্যভেদ হয় কেন্দ্রি পায়েজের আরেকটি শট।

আর্জেন্টিনা ছন্দ-ছন্দে খেলে প্রথম আক্রমণটা শাণায় ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। তবে লাহুয়েল মলিনার ক্রসে হেড দিয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন এনজো ফার্নান্দেজ। ৩৪তম মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে শট নিয়েছিলেন এনজো। তবে প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সেটা লক্ষ্যচ্যুত হয়।

অবশেষে ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতরেই মাথা ছুইয়ে সেটার দিক বদলে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। একদম মোক্ষম জায়গায় বল পেয়ে মাথার আলতো ছোঁয়ায় জাল খুঁজে নেন লিসান্দ্রো। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।