রেফারির ফুঁ বাজছে মাত্র। বার্লিনের অলিম্পিয়া পার্ক মেতে ওঠে কমলা উৎসবে। ওউট বেগহর্স্ট উড়তে থাকেন ডানা মেলে। তুরস্ক শিবিরে দুঃখের মিছিল, কান্নার রোল। এগিয়ে থেকেও পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে তুরস্ককে ২-১ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডস। সেমিফাইনালে ডাচদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ২০ বছর পর ইউরোর সেমির দেখা পেয়েছে টোটাল ফুটবলের দেশ। সর্বশেষ এই অর্জন ছিল ২০০৪ সালে।
৩৫ মিনিটে সামিট আকায়দিনের গোলে এগিয়ে যায় তুরস্ক। প্রথমার্ধে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধ এসেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না নেদারল্যান্ডস। ৭০ মিনিটে গোল দিয়ে সমতা আনে স্টেফান ডি ভির্জ।
৬ মিনিটের ব্যবধানে ডাচরা লিড নেয়। মের্ট মাল্ডারের আত্মঘাতী গোলে স্বপ্ন ভাঙে দেশটির। ডান দিকে আসা ক্রস রুখতে গিয়ে বল নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন মাল্ডার। সঙ্গে ডাচ ফরোয়ার্ড গাকপোর সঙ্গে হয় সংঘর্ষ।
সমতা আসার পর থেকে নেদারল্যান্ডসের যেন হুশ ফেরে। একের পর এক আক্রমণের চেষ্টা। তুরস্কও হার না মেনে লড়তে থাকে। শেষ দিকে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
যোগ করা সময়ের ৬ মিনিটে হজম করে লাল কার্ডও। বদলি নামা বের্তাগ লাল কার্ড দেখেন। তুরস্ক চলতি আসরে ১৯টি হলুদ কার্ড ও ১টি লাল কার্ড হজম করে। ইউরোতে যৌথভাবে এটি দ্বিতীয়। ১৯৯৬ সালে চেক প্রজাতন্ত্র এমন বাজে রেকর্ড গড়ে।
নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ ছিল ১৫টি। তুরস্কের ৫টি বেশি। ৬০ শতাংশ সময় বল পায়ে ছিল ডাচদের।
ইউরোর চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৯টি গোল দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের থেকে দুটি বেশি স্পেন-জার্মানির। ইউরোতে এগিয়ে থেকেও এটি তুরস্কের দ্বিতীয় হার। এর আগে ২০০৮ সালে জার্মানির বিপক্ষে হেরেছিল তারা।