কোপা আমেরিকার ২০২৪ সালের আসরে উরুগুয়ের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। তাতে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হলো ‘সেলেসাও’দের। অবশ্য শেষ আটে ব্রাজিলের এই স্বপ্নভঙ্গ নতুন নয়। অতীত থেকে বর্তমান সময়ে একবার ঘুরে এলে কোয়ার্টারে স্বপ্নভঙ্গের অনেক নজির দেখা যাবে। কোয়ার্টার ফাইনাল যেন ব্রাজিলের দুঃখের অপর নাম।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ফিরে গেলে দেখা যায়, ২০০১ সালের কোপা আমেরিকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখা ব্রাজিল ২-০ ব্যবধানে হার মানে হন্ডুরাসের বিপক্ষে। এরপর ২০১১ সালে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত আসরেও ফের কোয়ার্টার ফাইনালে থামে তাদের যাত্রা।
চিলিতে ২০১৫ সালে বসে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। এবারের আসরেও ব্রাজিলের দৌড় থামে কোয়ার্টার ফাইনালে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলের সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কোপা আমেরিকার হিসেব শেষে বিশ্বকাপের আসরে ফেরা যাক। তাতে দেখা যায়, ২০০২ সালে পঞ্চম ও শেষবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের পাঁচ আসরের চারটিতেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ। সেবার এক ধাপ এগিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছিল ব্রাজিল।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু। সেই বিশ্বকাপে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলটা পেয়েছিল জাগো বেনিতোর ধারকরা। রোনালদো, কাকা, রোনালদিনহো, আদ্রিয়ানো, দিদা, লুসিও, রবার্তো কার্লোসদের নিয়ে গড়া সেই দলটা কোয়ার্টার ফাইনালে হার মানে ফ্রান্সের কাছে।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারে ব্রাজিল। ২০১৮ সালের আসরে কোয়ার্টারে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় তারা। ২০২২ সালে তাদেরকে শেষ আটে দুঃস্বপ্ন উপহার দেয় ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হার মানে নেইমাররা।