প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সিরিজ জয়ের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সেই স্বপ্নপূরণ বিলম্বিত হয়। শেভরনরা অপেক্ষায় ছিল তৃতীয় ম্যাচের। কিন্তু তৃতীয়টিতেও জয় পায়নি তারা।
আজ বুধবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা হার মেনেছে ২৩ রানে। তাতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই তাদের সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে সিরিজ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে শেষ দুই ম্যাচের দুটিতেই জিততে হবে।
হারারেতে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
রান তাড়া করতে নেমে নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। ৩৯ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে ডিওন মায়ার্সের অপরাজিত ৬৫ রানের অনবদ্য ইনিংস ও ক্লাইভ মাদান্তের ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে সম্মানজনক স্কোর গড়ে।
৩৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ডিওন ও মাদান্তে ষষ্ঠ উইকেটে দলীয় সংগ্রহে ৭৭ রান যোগ করেন। ১১৬ রানের মাথায় মাদান্তে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তিনি ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করে যান।
সেখান থেকে ডিওন ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ১৫৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। ডিওন ৪৯ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৫ রান করেন। ওয়েলিংটন ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে।
বল হাতে ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আবেশ খান ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমান গিলের ব্যাটে শুরুটা উড়ন্ত হয়েছিল ভারতের। ৮ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছিল ৬৭ রান। এরপর জয়সাওয়াল ফিরেন ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে। ৮০ রানের মাথায় আবারও সঙ্গী হারান গিল। এবার ফিরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অভিষেক শর্মা। আজ মাত্র ১০ রান করেন তিনি।
সেখান থেকে গিল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় দলীয় সংগ্রহকে এগিয়ে নেন। এ সময় গিল অব্যশ পূর্ণ করেন ফিফটি। ৩৬ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৫০ করেন অধিনায়ক। ১৫৩ রানের মাথায় ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করে ফিরেন গিল।
১৭৭ রানে গিয়ে আউট হন রুতুরাজও। তিনি ২৮ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান। সেখান থেকে সঞ্জু স্যামসন অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহে ১৮২ রানের চূড়ায় নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও সিকান্দার রাজা ২টি করে উইকেট নেন। ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর।