সবশেষ লাল-সবুজের জার্সিতে তাকে দেখা গেছে ২০২৩ সালের মে’তে। মাঝে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপসহ ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষেও ব্রাত্য ছিলেন তারকা পেসার জাহানারা আলম।
তবে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও পথহারা হননি জাহানারা। ফেরার লড়াইয়ে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন যেকোনো সময়ের জন্য। তাইতো বলছেন জাহানারা, ‘প্রতিটি সময় আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি যেন নারীর দলে যখনই আমার প্রয়োজন হবে আমি যেন প্রস্তুত হয়ে থাকতে পারি।’
আসন্ন নারী এশিয়া কাপে জাহানারাকে ফিরিয়ে দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ মাস পর তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে বল হাতে দৌড়াতে দেখা যাবে। এই সময়টুকুতে কিভাবে কাজ করেছেন জাহানারা?
জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের ক্যাম্পসহ মিরপুর ব্যস্ত থাকে সারা বছরই। স্বভাবতই দলের বাহিরে থাকা জাহানারা এখানে প্রস্তুতির সুযোগ পাননি। তাই নিজেকে তৈরি করার জন্য বেছে নিয়েছেন ঢাকার অদূরে মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমিকে। সেখানে কোচ সালাউদ্দিনের পরামর্শ মতে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
‘এই দীর্ঘ এক বছরের মধ্যে আমি ৯ মাস ট্রেনিং করেছি মাস্কো একাডেমিতে। সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সাথে।’
জাতীয় দলে ফেরার প্রতিক্রিয়ায় জাহানারা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ এক বছর পর আবার জাতীয় দলে ফিরেছি। আল্লাহর অশেষ রহমত, শোকর আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া জানাই আল্লাহর প্রতি।’
‘শেষ প্রিমিয়ার লিগেও একটি দারুণ পারফরম্যান্স হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ৷ দীর্ঘ নয় মাসের পরিশ্রম বলতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা দারুণ অনুভূতি যে আমি আবারও বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।’
এবারের নারী প্রিমিয়ার লিগে তাক লাগানো পারফরম্যান্স করেছেন আবাহনীকে নেতৃত্ব দেওয়া জাহানারা। মাত্র ৯ ম্যাচে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন মাত্র ৩.১২ রান করে। এমন পারফরম্যান্সের জন্য খুলে যায় জাতীয় দলের দরজা।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ। গ্রুপ ‘বি’ থেকে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ হলো থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া। জাহানারার চোখ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে। ফেরাতে চান ২০১৮ সালের সুখস্মৃতি। সেবার বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
জাহানারা বলেন, ‘এশিয়া কাপে দলের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে ভালোভাবে সেমিফাইনাল খেলা। আমরা যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারি তাহলে পাকিস্তানের সাথে সেমিফাইনালে লড়তে হতে পারে। এদিক থেকে আমাদের জন্য একটু সহজ হতে পারে। এবং অবশ্যই আমরা সেটাই চেষ্টা করব।’
‘পজিটিভ রেজাল্ট, আমরা যদি বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়ে আসতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সুখ স্মৃতিতে ব্যাক করার জন্য যেটা ২০১৮ সালে করেছিলাম৷ আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকবে প্রত্যেকটা ম্যাচে আমি যেন অবদান রাখতে পারি দলের জয়ে।’