ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে আলোর সবটা কেড়ে নিচ্ছেন লামিনে ইয়ামাল। প্রতি ম্যাচেই দেখাচ্ছেন ঝলক। তাকে নিয়ে আলোচনার মাঝেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায় আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে তার কিছু ছবি। ছবিগুলো কেন এতোদিন প্রকাশ্যে আসেনি? উত্তরটা দিয়েছেন ইয়ামাল নিজেই। জানিয়েছেন, আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে তার তুলনা এড়াতেই ছবিগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
মেসির সঙ্গে ইয়ামালের ছবিগুলো তোলা হয়েছিল ২০০৭ সালে। ইয়ামালের বয়স তখন ৬ মাস। ছবিতে মেসিকে দেখা যায় একটা গামলার মধ্যে বসে থাকা শিশু ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছেন। পাশে ছিলেন এই বিস্ময় বালকের মা শেইলা ইবানা। ছবিগুলো তোলা হয়েছিল ইউনিসেফের সৌজন্যে কাতালান পত্রিকা দিয়ারো স্পোর্তের একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের জন্য।
ছবিগুলো কেন এতোদিন সামনে আসেনি, এ নিয়ে ‘জিজান্তেস এফসি’র সঙ্গে শুক্রবার (১২ জুলাই) খোলামেলা কথা বলেছেন ইয়ামাল। ইয়ামাল বলেন, ‘অবশ্যই, ছবিগুলো তোলার সময় কী হচ্ছিলো, ওই বয়সে আমার বোঝার কথা নয়। আমার বাবার কাছে ছিল ছবিটা এবং কখনোই সেগুলো প্রকাশ্যে আসেনি। আসলে আমরা চাইনি, মেসির সঙ্গে আমার কোনো তুলনা হোক।’
সময়ের তো বটেই, গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। যার পদতলে লুটিয়ে পড়েছে সাফল্যের মালা। তার সঙ্গে যে কারো তুলনা হয় না সেটাও জানিয়ে রাখলেন ইয়ামাল, ‘ফুটবলে সবসময়ের সেরার সঙ্গে তুলনা হলে নিশ্চয় কেউ বিরক্ত হবে না। কিন্তু এটা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে, কারণ তার মতো হওয়া কখনও সম্ভব নয়।’
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজের হাত ধরে ইয়ামালের আলোর পাদপ্রদীপে আসা। ২০২৩ সালে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেকের পর দ্রুতই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন ইয়ামাল। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন ৫০টির বেশি ম্যাচ।
ক্লাব মাতিয়ে ইয়ামাল নজরে পড়েন স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের। তাতেই সুযোগ মেলে ইউরোতে খেলার। ইউরোপে এসেও থেমে নেই তার ঝলক। প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে চোখধাঁধানো এক গোল করে দলকে পথ দেখান তিনি। গড়েন ইউরোর মঞ্চে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার কীর্তি। এবার শুধু শিরোপা উচিয়ে ধরার অপেক্ষা।