বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল সাজানো থাকে মূলত প্রতিশ্রুতিশীল ও উদীয়মান ক্রিকেটারদের নিয়ে। এইচপির অস্ট্রেলিয়া সফরের সেই প্রাধান্য থাকলেও জাতীয় দলে খেলা তিন ক্রিকেটারও আছেন। সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬ বছরের বেশি সময় ধরে খেলা আফিফ হোসেন ধ্রুবর থাকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এ ছাড়া বাকি দুজন হলে মাহমুদুল হাসান জয় ও তানজীদ হাসান তামিম। আফিফের তুলোনায় বাকি দুজন সদস্যকে জাতীয় দলে এখনো নবীন-ই বলা যায়। শনিবার দুপুরে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দল ঢাকা ত্যাগের আগে আফিফকে রাখা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচক হান্নান সরকার।
হান্নান বলেন, ‘সাম্প্রতিক অতীত যদি আপনি দেখেন, আফিফ কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে দূরে রয়েছে।’
‘যদিও বিশ্বকাপে গিয়েছিল কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। আফিফের ক্যারিয়ারটা যদি দেখি, কতদিন সে ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ খেলে গিয়েছে?’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণে আফিফ নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে ছিলেন রিজার্ভ সদস্য হয়ে। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়া টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আফিফ খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ৬৯টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টিতে ধারবাহিকতা থাকলেও ২০২০ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া আফিফ ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। এই সংস্করণে তার ম্যাচ সংখ্যা ৩১টি।’
‘সংখ্যাটা হয়তো অনেক। ছয়-সাত বছরে একটা খেলোয়াড়ের ম্যাচ সংখ্যা কিন্তু আরও অনেক বেশি হওয়ার কথা। সেখানে কিন্তু আফিফের ম্যাচ সংখ্যা কি আসলেই এতটা? এসব কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি।’
’এই সফরে এইচপি দুটি চারদিনের ম্যাচ, তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। বাকি দলগুলো হলো পাকিস্তান ‘এ’ দল, অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরি একাদশ ও বিগ ব্যাশের পাঁচটি দল। সফর নিয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হান্নান।
‘অস্ট্রেলিয়ার নামটা যখন আমরা চিন্তা করি, তখনই মনে হয় তারা চ্যাম্পিয়ন। সে জায়গা থেকে এ ধরনের দলের সঙ্গে, খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলা। পাশাপাশি ঐ ধরনের কন্ডিশনের সঙ্গে খেলা, প্রতিটা জায়গা থেকে আমার মনে হয় এটা বেশ ভালো অভিজ্ঞতা আমাদের খেলোয়াড়রা নিতে যাচ্ছে, একটা লম্বা সময় পরে।’