দুই দলই সেমিফাইনালে বাদ পড়েছিল। তবে লড়াই করেছিল দুর্দান্ত। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়েও সেটা জারি রাখলো উরুগুয়ে ও কানাডা। তাতে নায়ক হয়ে উঠলেন উরুগুয়ের ইতিহাসে কিংবদন্তির আসনে বসা লুইস সুয়ারেজ। শেষ সময়ে গোল করে লিখলেন প্রত্যাবর্তনের গল্প। তার গোলেই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে ‘তৃতীয়’ হয়ে আসর শেষ করলো আসরের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াই হলেও ম্যাচে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, উন্মাদনার কোনো কমতি ছিলো না। ম্যাচের শুরুতে গোল দিয়ে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। এরপর প্রথমার্ধে সমতা টেনে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় কানাডা। পরাজয় যখন চোখ রাঙাচ্ছে, ঠিক তখনই ৯২ মিনিটে উরুগুয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন সুয়ারেজ। দারুণ এক গোলে ২-২ সমতা টেনে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যান। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয়টা হলো মার্সেলো বিয়েলসার দলের।
ম্যাচের শুরুতে বল দখলের লড়াই হলো ধুন্ধুমার। তাতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল উরুগুয়েই। ৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো বেন্টাকুর। ২২ মিনিটে সমতায় ফেরান কানাডার ইসমাইল কোন। প্রথমার্ধে গোলের জন্য দুই দল মরিয়া হয়ে উঠলেও আর কোনো গোল হয়নি। ফলে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় গোলের চেষ্টা করেও এগিয়ে যেতে পারছিল না কোনো দল। দুই দলের ডিফেন্সই যেন ‘চীনের মহাপ্রাচীর’। অবশেষে ৮০ মিনিটে কানাডাকে এগিয়ে দেন জোনাথন ডেভিড। তার এই গোলেই দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কানাডা। তবে সেটা হতে দিলেন না উরুগুয়ের ইতিহাসে সেরা তারকাদের একজন সুয়ারেজ।
বদলি হিসেবে নেমে খুব সম্ভবত জাতীয় দলের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেন লুইস সুয়ারেজ। ৯২ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান তিনি। আর তাতেই নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটে গোল করে দুই দল। তৃতীয় শটে গিয়ে পেনাল্টি মিস করেন কানাডার কোন। পঞ্চম শট মিস করেন কানাডার আলফানসো ডেভিস। বিপরীতে নিজেদের ৪ শটে গোল করেই জয় নিশ্চিত করে উরুগুয়ে। পেনাল্টি শটে গোল করেন সুয়ারেজও। সান্ত্বনার জয় দিয়েই সম্ভবত উরুগুয়ের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন সুয়ারেজ।