ইউরোর ফাইনালে লামিনে ইয়ামাল যখন মাঠে নামলেন তখন তার বয়স ১৭ বছর ২ দিন। স্পেন এবার তাকে জাতীয় দলে নিয়ে বার্তাই দিয়ে রেখেছিল, বিস্ময়বালক আসছে। খুদে তারকা তৈরি হচ্ছে।
মাসখানেকের প্রতিযোগিতা শেষে সেই বিস্ময়বালকই দেখালেন কারিশমা। ফাইনালে গোল করেননি। অ্যাসিস্ট করেছেন। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন কিন্তু ফিনিশিংয়ে আটকে গেছেন। তাতে কি? দলীয় খেলায় ইয়ামাল শেষ হাসিটা হেসেছেন। আর তাতেই তরুণ তুর্কী শিরোপায় চুমু খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। গলায় পরেছেন রেকর্ডের মালা।
জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার পর সবচেয়ে কম বয়সে নানা কিছু রেকর্ড তার ধরা দিয়েছে। ইউরোর ফাইনালেও এমন কিছু ঘটলো। ইউরো বা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ফাইনাল খেলা ও শিরোপাজয়ী ফুটবলার এখন ইয়ামালই। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের দিন পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। ইয়ামাল জিতলেন ১৭ বছর ২ দিনে। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে নিজের আগমণী বার্তা জানান দিয়েছেন ইয়ামাল। একটি গোলের পাশাপাশি চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন। যা এক আসরে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড।
জানিয়ে রাখা ভালো— কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তিনটিতেই গোল করানো বা অ্যাসিস্টে একমাত্র ফুটবলার তিনিই। ইয়ামাল এবং সতীর্থদের যাদুতে স্পেন এবার টুর্নামেন্টে মোট ১৫ গোল করেছে। ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স এক আসরে ১৪ গোল করার রেকর্ড গড়েছিল। এবার স্পেন তাদেরকে ছাড়িয়ে নতুন কীর্তি গড়েছে।
এদিকে ইংল্যান্ড এই নিয়ে টানা দুই ইউরোর ফাইনাল হারলো। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে টানা দুই ফাইনাল হারের রেকর্ডের তালিকায় নিজেদের নাম তুললো থ্রি লায়ন্সরা। ফাইনালের রাতটা ছিল ইয়ামালের। রেকর্ডময় রাতের শেষটা হয়েছে শিরোপা অর্জনে। সঙ্গে ব্যক্তিগত মুকুটও জিতেছেন। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হওয়া ইয়ামাল এবার সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কারও পেয়েছেন।