খেলাধুলা

আফ্রিদি-নাসিমদের চ্যালেঞ্জ জিতে যাওয়ার আশা শান্তর

মাস খানেকেরও পরে বাংলাদেশ জাতীয় দল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই টেস্ট খেলবে পাকিস্তানে। প্রথম টেস্ট হবে রাওয়ালপিণ্ডিতে। পরেরটি করাচিতে। পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলা মানেই তাদের দ্রুততম বোলারদের সামলানোর কঠিন পরীক্ষা দেওয়া। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আমির জামাল, মির হামজাদের সামনে শান্ত, মুমিনুল, মুশফিকদের পরীক্ষা দেওয়া।

অতীতের রেকর্ড বলছে, সুখস্মৃতির পরিবর্তে বাংলাদেশ দুঃস্মৃতিই পেয়েছে, ২০২০ সালে সবশেষ সফরে। রাওয়ালপিণ্ডিতে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার কী হবে? এবারও তো সেই আফ্রিদিদের সামলাতে হবে তাদের? কতটা আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত?

মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে শান্ত উত্তর দিয়েছেন এভাবে, ‘ব্যাটিং পরিকল্পনাটা না বলি। ব্যাটিং পরিকল্পনা আমাদের মধ্যেই থাক। আমার মনে হয় এটা (পাকিস্তানের বোলিং) অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তারা খুবই ভালো দল। তবে আমার মনে হয় এই ফরম্যাটে আমাদের বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। যদি নাম মেনশন করি, মুশফিক ভাই, মুমিনুল ভাই। আরো কিছু খেলোয়াড় আছে। আমরা যদি আমাদের সেই অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারি এবং আমাদের ওই স্ট্রেন্থ অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে এই সিরিজটা ভালো হবে।’

এবার ভালো প্রস্তুতির সুযোগ দেখছেন শান্ত। কেননা এইচপি দলের হয়ে টেস্ট দলের নিয়মিত ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু, সাদমান ইসলাম গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে দুইটি চারদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তারা। এছাড়া ‘এ’ দলের হয়ে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকের একটি চারদিনের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা পাকিস্তানে। জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ শুরুর আগে এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গে দেশে নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন শান্তরা।

অনুশীলন ও প্রস্তুতি নিয়ে শান্ত সন্তুষ্টির কথাই বললেন, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। বেশ কিছু খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েছেন যারা মূল স্কোয়াডে থাকতেও পারেন। তাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ ভালোমতো প্রস্তুতি নেওয়ার। চট্টগ্রামে আমাদের দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে সামনে। যারা এই ম্যাচগুলোতে জড়িত থাকবে তারা প্রস্তুতিটা নিতে পারবে ঠিক মতো। পরিকল্পনার কথা বলবো…খুব ভালো পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রস্তুতি ম্যাচ গুলো এবং আমাদের যাওয়ার আগে বেশ কিছু প্রস্তুতির সেশনও থাকবে। এগুলো আমরা ঠিক মতো করে যত তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হতে পারি।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেবল দুই টেস্ট খেলেছে। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত খেলেনি এক টেস্টও। দুই দলই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। তাই কিছুটা চাপে আছে দুই দলই। তবে ফরম্যাট বদলানোতে নতুন ক্রিকেটার দলে ঢুকছে। নতুন মানসিকতা নিয়ে দলে এসেছেন। তাদের থেকে ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশাার পাশাপাশি এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় শান্তর কণ্ঠে।

এ নিয়ে শান্ত আরও বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টের ভালো কিংবা খারাপের ক্ষেত্রে না। খারাপ হলেও আমাদের সামনের দিকে যেতে হবে। ভালো হলেও খুব বেশি চিন্তা করে যাওয়ার দরকার আছে সেটাও না। বর্তমানে থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আমাদের কোন সিরিজটা আছে।’

‘আপনি যেটা বললেন, আমাদের এটা ভিন্ন ফরম্যাট। এ ফরম্যাটে বেশ কিছু খেলোয়াড় আসবেন যারা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছিলেন না। যারা আসবেন তারা অনেক আগের থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাকিস্তান সিরিজের জন্য। অবশ্যই সামনের সিরিজটা আমাদের সুন্দরভাবে শুরু করা উচিত। আমরা অনেক আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেছি। এই সিরিজের আগে সবাই বেশ ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাচ্ছে। আশা করছি ভালোই হবে।’- যোগ করেন শান্ত।