ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ফিফটি। একবার এদিকে আরেকবার ওদিকে হেলে পড়া ম্যাচে বল হাতে জাদু দেখান। বাংলাদেশ হাই-পারফরম্যান্স দলের লাল বলের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সামনে থেকে দলকে দিয়েছেন নেতৃত্ব।
তার এমন পারফরম্যান্সে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এইচপি। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের শেষ দিন এইচপির দেওয়া ২৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৯০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান শাহীনস। জয় ১৩ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এর আগে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই করেছেন ফিফটি।
তবে বোলিংয়ের কারণে এই ম্যাচটিকে তার ক্যারিয়ার সেরা বলে মনে করছেন জয়, ‘এটা আমার প্রথম শ্রেণির প্রথম ৫ উইকেট। আমি বলব যে এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং এবং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছি।’
লাল বলে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেন জয়। নেটে সবসময় বোলিং দক্ষতা ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বল হাতে জাদুর মন্ত্র কি?, ‘ব্যাটার হিসেবে আমার কাজ... সবসময় চেষ্টা করি যেখানেই খেলি পারফর্ম করার। অনেকদিন পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলেছি। এখানে উইকেট খুব ভালো ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য, আমি সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
‘আর আমি সবসময় চেষ্টা করি নেটে বোলিং করার। এখন সুযোগ এসেছে ম্যাচে বোলিং করার, আমি নেটে যেটা করি ম্যাচে সেটা নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছি’- যোগ করেন জয়।
প্রথম ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। তবে তরুণ ক্রিকেটাররা দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটিকে নিয়েছেন বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে। দারুণ লড়াইয়ে শেষ মুহুর্তে নাটকীয় জয়ে শেষ হাসি হাসে লাল সবুজের দল।
এইচপি অধিনায়ক বলেন, ‘এটাকে আমরা বাঁচা-মরার ম্যাচ হিসেবেই ধরে নিয়েছিলাম। আমরা প্রথম ম্যাচটা হেরে গিয়েছি, এটা আমাদের কামব্যাক ম্যাচ ছিল। এটা জেতায় সিরিজে সমতা এসেছে। আমরা খুব খুশি জিতেছি এবং সিরিজে সমতা এনে দেশে যাচ্ছি।’
চার দিনের ম্যাচ শেষ। এবার শুরু হবে ওয়ানডে। তার পর টি-টোয়েন্টি। সাদা বলের দলে না থাকা জয় দেশে ফেরার আগে সতীর্থদের শুভ-কামনা জানিয়েছেন।