শ্রীলঙ্কা যখন ৭৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারালো, তখন অনেকেই ভারতের জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে চমক দেখলো লঙ্কানরা। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ভারতকে ১১০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতলো তারা। তিন ম্যাচের সিরিজে লঙ্কানদের জয় ২-০ ব্যবধানে।
ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা প্রথম জয় পায় ১৯৯৩ সালে, দ্বিতীয় জয় আসে ১৯৯৭ সালে। এরপর ২৭ বছর পেরিয়ে পেল তৃতীয় জয়।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথমটি টাই হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। আজ শেষ ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ভারত অলআউট হয় ১৩৮ রানে।
ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৮৯ রান যোগ করেন পাতুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো। ৬৫ বলে ৪৫ রান করে নিশাঙ্কা ফেরার পর কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে আভিস্কার জুটিতে আসে আরও ৮২ রান। এরপরই পথ হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। আভিষ্কার উইকেট দিয়ে শুরু। ৯৬ রানে ফিরে যান তিনি। এরপর কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। শেষে কামিন্দুর ২৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে শ্রীলঙ্কা লড়াকু পুঁজি পায়।
ভারতের রান তাড়ায় আরেকবার ঝোড়ো শুরু করেন রোহিত শর্মা, তবে অন্যদিকে ধীর গতির ছিলেন শুভমান গিল। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে তিনি যখন আউট হন, ভারত তার আগেই তুলে ফেলে ৩৭ রান। রোহিতও বেশিক্ষণ থাকেননি আর। ভারত এরপর উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত।
শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক দুনিত ভেল্লালাগে। এই বাঁহাতি স্পিনার ২৭ রানে নেন ৫ উইকেট। ভারতের দুই ব্যাটার রোহিত-বিরাট কোহলি দুজনকেই ফেরান ভেল্লালাগে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৪৮/৭ (আভিস্কা ৯৬, কুশল ৫৯, নিশাঙ্কা ৪৫; পরাগ ৩/৫৪, সুন্দর ১/২৯, কুলদীপ ১/৩৬)। ভারত: ২৬.১ ওভারে ১৩৮ (রোহিত ৩৫, সুন্দর ৩০, কোহলি ২০; ভেল্লালাগে ৫/২৭, ভ্যান্ডারসে ২/৩৪, তিকশানা ২/৪৫)। ফল: শ্রীলঙ্কা ১১০ রানে জয়ী। সিরিজ: তিন ম্যাচে সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২-০-তে জয়ী