শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই উঠে পড়ে লেগেছেন এতদিন ধরে উপেক্ষিত থাকা ক্রীড়া সংগঠকরা। বিরোধী দলীয় রাজনীতির কারণে তারা এতদিন কোথাও জায়গা পাননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) প্রায় সব ক্রীড়া ফেডারেশনে চলছে তাদের মহড়া।
এবার বিসিবিতে এলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাফজয়ী গোলরক্ষক আমিনুল হক। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে দলবল নিয়ে নিয়ে তিনি হাজির হন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ছিলেন।
মহড়া শেষে আমিনুল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি ওয়াদা করেন, কোনো ফেডারেশনে দলীয় লোক থাকবে না।
‘আমি আপনাদেরকে ওয়াদা করছি, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে, কোনো ক্রিকেট বোর্ড বলেন কোনো ফেডারেশন বলেন, কোথাও কোনো রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ করা হবে না। আমরা গত ১৭ বছরে এ শিক্ষা পেয়েছি, যে স্বৈরাচারি আচরণ দেখেছি, আর কোনো স্বৈরাচার আসুক সেটা আমরা চাই না।’
‘স্পোর্টস হচ্ছে আপামর সাধারণ মানুষের একটি জায়গা। সেখানে কোনো দল-মতের ভিত্তি আমি দেখি না। রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ মুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশের যারা মূল, মাঠের যারা সংগঠক, তাদেরকে নিয়ে আমরা প্রতিটি ফেডারেশন, ক্রিকেট বোর্ড, সাজাতে চাই। সেখানে কোনো বিশেষ দলের কাউকে প্রাধান্য দেওয়ার কোনো সুযোগ আর হবে না, দেওয়া হবে না, এটা আপনাদের সামনে ওয়াদা করলাম।’
আমিনুলের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবু, কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল ও ক্রীড়া সংগঠক তরিকুল ইসলাম টিটু। তারা নিজেদের দাবি উত্থাপন করেছেন বিসিবিতে। অন্যতম দাবি হলো বর্তমান বোর্ডের পরিচালকদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ।
‘প্রত্যেকটি বিষয়ের একটি সময় রয়েছে, প্রক্রিয়া আছে, আমাদের যে দাবি দাওয়া তারা নোট করেছে, আমরা বলেছি বর্তমান যে ক্রিকেট বোর্ড রয়েছে, অনতিবিলম্বে তারা যেন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে এবং পদত্যাগের মাধ্যমে আমাদের যে উপদেষ্টা মহোদয় আছেন তার সাথে বসে নতুন করে কমিটি গঠন করে আমরা ক্রিকেট বোর্ড চালাতে যাই’-বলেছেন আমিনুল।