ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি এখনো ক্রিকেটাররা পাননি। যেটি ১৫ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া বোর্ডের দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ড জানিয়েছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিসিবির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও সততাকে ছোট করা হচ্ছে।
বোর্ড জানায়, এখন পর্যন্ত এই টাকা বুঝে পাননি তারা। আইসিসি ও আয়োজক দেশ ভারত অর্থ সংস্লিষ্ট দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি আসতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি।
বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, ‘পুরুষদের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হয়েছে। বিসিবি দ্রুত আইসিসির কাছে প্রয়োজনীয় চালান জমা দেয়। তবে, ট্যাক্সের আনুষ্ঠানিকতা এবং এ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বিতরণ প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে।’
‘এগুলি প্রশাসনিক বাধা যা কেবল বিসিবি নয় অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকেও মুখোমুখি হতে হয়ছে। প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য বিসিবি ভারতে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ফার্ম (ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলস এলএলপি) নিয়োগ করেছে যা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সমস্ত বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আবেদনগুলির প্রক্রিয়া করেছে।’
‘বিসিবি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের করা অসত্য মন্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে এবং এই বিষয়ে বোর্ড ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসত্য আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিসিবির কার্যক্রমের সততা ও স্বচ্ছতা নষ্ট করে।’