খেলাধুলা

ওয়ানডেতে টাই হলে সুপার ওভার, শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচে কেন হলো না?

আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, কোনো ওয়ানডে ম্যাচ টাই হলে সেটা সুপার ওভারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি না বৈরি কোনো পরিবেশ থাকে। কিন্তু গেল ০২ আগস্ট কলম্বোতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে টাই হলেও সুপার ওভারে যাননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

কেন যাননি? জানা গেছে, তারা ওয়ানডের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী সুপার ওভারের বিষয়টি জানলেও ভারত-শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজে সেটা প্রয়োগ করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন।

সেদিন মাঠে ছিলেন জোয়েল উইলসন ও রবীন্দ্র উইমালাসিরি। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন পল রাইফেল। রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন রুচিরা পালিইয়াংগুরুগে। ম্যাচ রেফারি ছিলেন রঞ্জন মাদুগালে। কিন্তু তাদের কেউ-ই ওয়ানডেতে আইসিসি নির্ধারিত প্লেয়িং কন্ডিশন বুঝতে পারেননি? অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তারা সবাই ভুল স্বীকার করেছেন।

তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে, ভারতের এই শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডেতে সুপার ওভার হবে কিনা। যদিও তারা জানতেন যে, ওয়ানডে ম্যাচ টাই হলে সময় ও কন্ডিশন বিবেচনায় সেটা সুপার ওভারে নিষ্পত্তি করতে হবে।

কিন্তু শ্রীলঙ্কার করা ২৩০ রানের জবাবে ভারতও ২৩০ রানে অলআউট হলে আম্পায়াররা বেল ফেলে দিয়ে ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তাতে সুপার ওভার না হয়ে ম্যাচটি টাই হয়েই শেষ হয়। অবশ্য আম্পায়ারদের বাইরে ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয় দলের কেউ-ই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি। তারা যদি সে সময় আম্পায়ারদের মনে করিয়ে দিতেন তাহলে হয়তো ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়াতো। তারা সেটা না করে হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়েন।

কিন্তু ম্যাচ শেষ হতে না হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডের প্লেয়িং কন্ডিশন সম্পর্কে আইসিসি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে, কোনো ওয়ানডে ম্যাচে যদি উভয় দলের রান সমান হয় তাহলে সেটি সুপার ওভারে গড়াবে। সুপার ওভার যদি টাই হয় তাহলে সেটা আরও একটি সুপার ওভারে গড়াবে (যদি সময় ও কন্ডিশন পক্ষে থাকে) এবং বিজয়ী নির্ধারণ হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতে থাকবে। যদি সময় ও কন্ডিশন পক্ষে না থাকে তাহলেই কেবল ম্যাচটি টাই হবে।