গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টের প্রথম ইনিংসে জমে উঠেছিল। প্রথম ইনিংসে দুই দলই লড়েছে সমানে সমান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেই ফুটে উঠতে শুরু করেছে পার্থক্য।এইডেন মার্করাম ও কাইল ভেরেইনের কল্যাণে দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ১৬০ রান। রান তাড়ায় নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে থামে ১৪৪ রানে। দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা এগিয়ে গেছে বেশ। ৫ উইকেট হাতে থাকতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ২২৩ রান। প্রথম ইনিংসের ১৬ রানের লিড মিলিয়ে তারা এখন এগিয়ে ২৩৯ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মূলে অবদান এইডেন মার্করামের। তার সঙ্গে ফিফটি করে কাজটা আরেকটু এগিয়ে দেন ভেরেইন। মার্করাম খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস। ছয় নম্বরে নামা ভেরেইনে অপরাজিত আছেন ফিফটি করে। ৫০ রানে অপরাজিত ভেরেইন তৃতীয় দিনে খেলতে নামবেন ৩৪ রানে অপরাজিত থাকা উইয়ান মাল্ডারকে নিয়ে।
ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি উপহার দেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। ৩৯ রান করে আউট হন জর্জি। এরুপর জুটি বাঁধেন মার্করাম ও ভেরেইন। মার্করাম আউট হওয়ার পর অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ভেরেইনে-মাল্ডার তুলেছেন ৮৪ রান।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগের দিনের ৭ উইকেটে ৯৭ রানের সঙ্গে যোগ করে আরও ৪৭ রান। এর মধ্যে জেসন হোল্ডার ও শামার জোসেফের শেষ উইকেট জুটিতেই ওঠে ৪০ রান। জোসেফ ২৫ রান করে আউট হওয়ার সময় হোল্ডার অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিনশেষে): দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬০ ও ২২৩/৫ (মার্করাম ৫১, ভেরেইনে ৫০*, জর্জি ৩৯, মাল্ডার ৩৪*; সিলস ৩/৫২)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: প্রথম ইনিংসে ১৪৪ (হোল্ডার ৫৪*, কার্টি ২৬, শামার ২৫; মাল্ডার ৪/৩২, বার্গার ৩/৪৯)।
*দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৯ রানে এগিয়ে।