শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থবির অবস্থান বিরাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনসহ অর্ধেকের বেশি পরিচালক আত্মগোপনে আছেন এখনো। এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বোর্ড সক্রিয় করার জন্য।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। বিসিবির অন্তর্বর্তী কমিটি কিংবা কী হতে পারে এই প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে জানিয়েছেন খুব দ্রুততম সময়ে সুসংবাদ আসবে।
‘এই বিষয় চলমান আছে। কোনো একটা সমাধানে পৌঁছানোর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনারা সুসংবাদ পাবেন আশা করি’-বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বিসিবি একটি স্বায়ত্তোশাসিত সংস্থা হওয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সরকার। এ ছাড়া মেনে চলতে হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বাধ্যবাধকতা। একটু এদিক সেদিক হলেই আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো সিদ্ধান্তে আসতে নয়জনের কোরাম প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পরিচালক মাহবুব আনাম, ইফতেখার রহমান, আকরাম খান, কাজী এনাম, জালাল ইউনুস, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, সাজ্জাদুল আলম ববিসহ কোরামও প্রস্তুত আছে বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে।
এখন তারা শরণাপন্ন হবেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ।
এর আগে পাপন জানিয়েছিলেন তিনি পদত্যাগে রাজি। পাপনের পদত্যাগের বিষয়টি মিডিয়াতে দেখলেও অফিসিয়ালি কোনো বক্তব্য পাননি বলে জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
‘বিসিবির ডিরেক্টর ও সভাপতির পদত্যাগের বিষয়টি আমি মিডিয়াতে দেখেছি। কিন্তু অফিসিয়ালি কোনো নিশ্চয়তা কিংবা বক্তব্য আমি পাইনি। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করছি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ক্রিকেট সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভালো সমাধানে পৌঁছানোর জন্য।’- আরও যোগ করেন আসিফ মাহমুদ।