খেলাধুলা

চুক্তির শেষ পর্যন্ত থাকতে চান হাথুরুসিংহে

ক্রিকেটাঙ্গনে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে অনেক আগে। সরকার পতনের পর পাল্টে গেছে ক্রিকেট বোর্ডের অনেক কিছু। সামনে আসছে বড় পালাবদল। কিছুদিনের মধ‌্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেবেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। সেই প্রক্রিয়া এখন চলমান।

ফারুক আহমেদ এক সময় ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক। তিনি যেই সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ওই সময়েই দায়িত্বে ছিলেন। বিসিবিতে সব সময় স্বাধীনভাবেই কাজ করতে চেয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। ২০১৬ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান নির্বাচক থাকাকালীন প্রবর্তন হয় বিতর্কিত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট দল নির্বাচন প্রক্রিয়া। ওই প্রক্রিয়ায় নিজের কাজে বোর্ড পরিচালকদের প্রবল হস্তক্ষেপের আশঙ্কার কথা জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক।

ওই দ্বি-স্তরবিশিষ্ট দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার ‘জনক’ ছিলেন এই হাথুরুসিংহে। তার অধীনেই কাজ করতে হতো নির্বাচকদের। ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দেওয়ায় ফারুক আহমেদ সরে যান। তিনিই এখন হাথুরুসিংহের ‘বস’ হয়ে ফিরছেন! তাই শ্রীলঙ্কান কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।

তবে হাথুরুসিংহে বেশ খোলা মনেই আছেন। সরিয়ে দিলে চলে যাবেন। আর সরিয়ে না দিলে চুক্তির শেষ পর্যন্ত কাজ করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন গণমাধ্যমে।

সোমবার পাকিস্তানে দলের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত নই বাংলাদেশে এখন কী হচ্ছে। আমার ভবিষ‌্যৎ বলতে, আমি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। আমি সেই সময় পর্যন্ত এখানে কাজ করতে আগ্রহী। যদি বোর্ডে পরিবর্তন হয় এবং নতুন যারা আসবে তারা যদি পরিবর্তন করতে চায় আমি সেই সিদ্ধান্তও মানতে প্রস্তুত। তবে তারা যদি আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় আমার কোনো আপত্তি থাকবে না।’ 

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট তিন বছর জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন হাথুরুসিংহে। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে ফেরানো হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই বছরের জন্য। এবারের চুক্তিতে আর্থিক দিকটি বেশ পাকাপাকি করে এসেছেন হাথরুসিংহে। বোর্ড তাকে কোনো কারণে সরিয়ে দিলে চুক্তির পুরো পারিশ্রমিক তাকে দিয়ে দিতে হবে। এমন শর্ত মেনেই তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বোর্ড। ফলে পাকিস্তান সফরের পর তাকে যদি বোর্ড সরিয়ে দেয় তাহলে আর্থিকভাবে বিশাল লাভবান হবেন হাথুরুসিংহে। এজন্যই চুক্তির শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে কাটিয়ে যেতে চান তিনি।