খেলাধুলা

দুইশ’র আশেপাশে পাকিস্তানকে আটকে দিতে চান হাসান

পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে বেশিদূর যেতে দিতে চান না বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। ডানহাতি পেসার আজ ২ উইকেট নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথমদিন বাংলাদেশের করে নিতে অবদান রাখেন। পাকিস্তানের বাকি ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। সব মিলিয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৫৮।

নিজেদের বোলিং নিয়ে হাসান বেশ সন্তুষ্ট। আগামীকাল উইকেট থেকে সহায়তা পেলে আরও তেজদ্বীপ্ত হওয়ার প্রত্যাশা তার। পাকিস্তানকে দুইশ কিংবা তার আশে পাশে আটকে দিতে চান এই পেসার।

দলের প্রতিনিধি হয়ে প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হাসান। দিনের খেলা নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন—

উইকেট নেওয়া কি আজ সহজ ছিল? হাসান মাহমুদ: উইকেট নেওয়া সব সময়ই কঠিন। কিছু সময় আবার সহজ হয়ে যায়।

উইকেট কেমন ছিল? আপনাদের বোলিং পরিকল্পনা কেমন ছিল? হাসান মাহমুদ: আমরা এখানে অনুশীলনের সময় দেখেছি উইকেটে ঘাস ছিল। আমাদের মাথায় ছিল উইকেটের পেস ও বাউন্স থাকবে। বৃষ্টির কারণে উইকেট হয়তো এখন একটু ধীর গতির হয়েছে। বোলিং নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওদের শক্তিশালী জায়গাতেই আঘাত করার। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করার। 

আগামীকালও কি এমন থাকবে? হাসান মাহমুদ: আগামীকাল যদি সূর্যর দেখা মিলে তাহলে উইকেট হয়তো শক্ত হবে। তাহলে পেসাররা কিছুটা বেনিফিট পাবে। বলে গতি ও বাউন্স পাবে। সব কিছু সূর্যর ওপর নির্ভর করছে।

পাকিস্তানকে কত রানে আটকে দিতে চান? হাসান মাহমুদ: এখনও অতদূর চিন্তা করিনি। তবে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা আগামীকাল নতুন পরিকল্পনায় মাঠে নামবো। চেষ্টা করবো সঠিক জায়গায় নিয়ন্ত্রিত বোলিং করার। দুইশ কিংবা তার আশেপাশে তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

নতুন বলের বোলিং নিয়ে যদি বলতেন… হাসান মাহমুদ: আমাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন বলে ব্যাটসম্যানদের যতটা পারি সামনে খেলাবো। বলে মুভমেন্ট ছিল। চেষ্টা ছিল একটা লাইন মেইন্টেইন করে সামনে করা যায়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু আমাদের সামর্থ্যে ছিল। সামনে আরও ভালো করবো।

টেস্ট ক্রিকেট কেমন উপভোগ করছেন?  হাসান মাহমুদ: লাল বলে আমি বোলিং করতে আমি উপভোগ করি। আমার অনেক অপশন থাকে বল করার। নিজের মতো করে বল করা যায়। এটাই সুবিধা। 

শরিফুল ও নাহিদ আজ কেমন করেছেন? হাসান মাহমুদ: তারা দুজনই ভালো করেছে। দুজনই দারুণ। শরিফুল অনেকগুলো টেস্ট খেলেছে। রানা একেবারেই নতুন। ওর অ্যফোর্টে মনে হচ্ছে অনেক আগের থেকে খেলছে। সামনে আমরা ওদেরকে নিয়ে ভালো পেস বোলিং ইউনিট তৈরি করতে পারব।

ফিল্ডিংয়ে আজ দুটি দারুণ ক্যাচ হয়েছে… হাসান মাহমুদ: ফিল্ডারদের থেকে এমন কিছু পাওয়া সত্যিই দারুণ কিছু। ছেলেরা সবাই আজ ফিল্ডিংয়ে ভালো করেছে। ক্যাচগুলো বেশ ভালো নিয়েছে। এটা দেখে ভালো লেগেছে। দলে আমরা সবাই সতীর্থ। তাই প্রত্যেকের সাফল্য দেখতে ভালো লাগে।

চার পেসার নিয়ে খেলার সুযোগ কি ছিল? হাসান মাহমুদ: এটা কোচ এবং অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি তিনজন পেসার নিয়ে খেলাও ভালো কিছু।