৬২তম ওভারের ঘটনা। নিজের পঞ্চম বল করতে গিয়ে নো বল করেন সাকিব আল হাসান। আম্পায়ার নো বলের সংকেত দিলে সাকিব বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিস্মিত হয়ে কোথায় পা ল্যান্ড করেছে সেই জায়গা দেখতে গিয়ে পা রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন। ঘোর যেন কাটছিলই না। পরের দুই বল ঠিকঠাক করে ওভার শেষ করেন বাঁহাতি স্পিনার।
পরের ওভার করতে এসে আবার প্রথম বল নো কল করেন আম্পায়ার। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারের বিস্ময় এবারও কাটে না। আবারও সেই একই কাজ। পায়ের ল্যান্ডিং দেখে নিলেন ঠিকঠাক মতো। ওই স্পেলে আর কোনো নো বল করেননি সাকিব।
কিন্তু পড়ন্ত বিকেলে পিন্ডির ২২ গজে যখন হাত ঘোরালেন ১১ বলের ব্যবধানে আরও ২টি নো বল করেন। তাতে রীতিমতো বিস্ময় ছড়ায়। স্পিনার হয়ে এক ইনিংসেই চার নো বল। শুধু নো নয় বোলিং ইনিংসে একটি ওয়াইডও ছিল। সব মিলিয়ে ২৭ ওভারে ৩ মেডেনে ১০০ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
পরিসংখ্যান বলছে, টেস্ট ক্রিকেটে কোনো ইনিংসে এতো নো বল কখনোই দেননি সাকিব। ক্যারিয়ারের ৬৮তম টেস্ট খেলছেন সাকিব। এর আগে ৬৭ টেস্টে সাকিব নো বল করেছেন মাত্র ৫ ম্যাচে। এক টেস্টে সর্বোচ্চ ৩টি। ইনিংসে সর্বোচ্চ ২টি। রাওয়ালপিন্ডিতে ৩৭ পেরোনো সাকিব ছাড়িয়ে গেছেন অতীতের সব রেকর্ড।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকিবের নো বল ছিল সর্বোচ্চ ৩টি। প্রথম ইনিংসে ১টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি নো বল করেন। এছাড়া বাকি চারটি টেস্টে তার নো বল ছিল ১টি করে। ২০০৭ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১টি করে। ২০০৯ সালের পর ২০২২ সালে সাদা পোশাকে পরের নো বলটি করেন সাকিব। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষ ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার পা ওভার স্টেপিং হয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে এক ইনিংসেই ৪ নো বলের ঘটনা তাই বিস্ময় ছড়াচ্ছে বেশ।