সিরিজ জয়ের কথা প্রথম টেস্ট শেষেই বলেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটে পাওয়া জয়ে যে আত্মবিশ্বাস মিলেছে তা দ্বিতীয় টেস্টেও কাজে আসবে। কিন্তু চাইলে কি আর সিরিজ জেতা সম্ভব?
২৪ বছরে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে কেবল ২০টি। সিরিজ জয় ১০টি। এর মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ৬০টি। যার মধ্যে জিতেছে ৩টি, ড্র করেছে ৯টি। বাকি সবগুলোতে হার। পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। তাই ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকা বংলাদেশের জন্য কাজটা মোটেও সহজ হবে না। পরিসংখ্যান বলছে, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে যে ৩টি জিতেছে বাংলাদেশ, সবকটিতেই প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। এছাড়া প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ ড্র করেছে সাতটি। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে কেমন ফল হতে পারে সেই ধারণা অতীতের রেকর্ড থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এই বাংলাদেশ তো রেকর্ড পরিবর্তন করতে চায়। শান্ত যেমন প্রথম টেস্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন, ‘রেকর্ড পরিবর্তন করা যায়।’ ফলে সিরিজ জিতে সেই রেকর্ড পরিবর্তন করতে মুখিয়ে থাকবে টিম বাংলাদেশ।
টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম সিরিজ জেতে ২০০৫ সালে। দেশের মাটিতে ২ ম্যাচের সেই সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটি করেছিল ড্র। এরপর ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে।
সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের শৃঙ্খলতায় অবাক হয়েছি। ব্যাটিং হোক বা বোলিং পুরো সময়টায় নিজেদের শৃঙ্খল রাখতে পেরেছিল। যা দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।’
শুক্রবার একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে দুই দল। বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবে। তবে স্বাগতিক পাকিস্তানকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। আরেকটি শৃঙ্খল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ম্যাচটা ড্র করতে পারলেই সিরিজ জিতে যাবে। আর জয়ের সুযোগ পেলে কেন হাতছাড়া করবে?