খেলাধুলা

ফাইফার আনন্দের ব্যাপার, দেশ এবং দলের জন্য গর্বের: হাসান

প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করেছিলেন, কিন্তু উইকেটের দেখা পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজনের সময় এবার জ্বলে উঠলেন হাসান মাহমুদ। তার বৈচিত্রময় বোলিং তোপে এলোমেলো পাকিস্তান শিবির। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন প্রথম ফাইফারের।

হাসানের এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে কম রানে স্বাগতিকদের আটকে দিয়ে জয়ে চোখ রাখছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হাসান। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রথমবার ফাইফার। নিজের পারফরম্যান্সকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?  হাসান: আসলে আমি বলতে চাই, ৫ উইকেট পাওয়াটা আনন্দের ব্যাপার, দেশ এবং দলের জন্য গর্বের ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচে আমরা জিতলাম। এখন আরও একটি ম্যাচে ভালো করতে পারছি। এখানেও জেতার সুযোগ রয়েছে। অনেক খুশি আমরা।

ফাইফারের অনুভূতি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? হাসান: আসলে আমার সতীর্থদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, যারা প্রতিটি বলের পিছনে অনেক পরিশ্রম করে। পরিকল্পনা আসলে খুবই সাধারণ ছিল। নতুন বল হাতে নিয়ে চেষ্টা করতে হয়েছে লাইন অনুযায়ী বল করে যাওয়ার। যেরকমটা অধিনায়ক এবং দল চেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের পরিকল্পনায় বল করে উইকেট তোলার চেষ্টা করে যাওয়া। 

আপনার দায়িত্ব কি ছিল?  হাসান: আমার রোলের কথা বললে, যখনই কোনো পেসারকে বল দেওয়া হয় তখন প্ল্যান থাকে উইকেট নেওয়ার মত বল কীভাবে করা যায়। যত বল করতে পারবে তত সফল হতে পারবে। তাসকিন ভাই শুরু করেছিল দিনের প্রথম উইকেট দিয়ে। এরপর রানা দুর্দান্ত বল করেছে। হয়ত মোমেন্টামটা আমাদের দিকে শিফট করেছে। এরপর আমাকে বল দেওয়া হলো। আমিও আমার প্রসেসে ছিলাম এজন্যই উইকেটটা পেলাম আরকি।

রিজওয়ান ও আলির উইকেট নিয়ে কি পরিকল্পনা ছিল?  হাসান: না অবশ্যই জুটি হলে দলের মধ্যে একটা পাজেলড অবস্থা সৃষ্টি হয়। চেষ্টা করেছিলাম আমরা অত চিন্তা না করে এক জায়গায় বল করে রান আটকানোর, দুই সাইড থেকেই বাউন্ডারি না দেওয়া, সিঙ্গেলস আটকানো, ভালো বল চালিয়ে যাওয়া; এটাই প্ল্যান ছিল আমাদের। 

প্রথম টেস্টে জয়। দ্বিতীয়টিতে জয়ের কাছে। দলের পরিবেশ কেমন?  হাসান: আসলে যখন আপনার দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকবে তখন তারা নিজেদের চিন্তাভাবনা অভিজ্ঞতা সবসময় আপনার সাথে শেয়ার করতে থাকবে। মাঠে হোক আর মাঠের বাইরে। এটাই আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমার মনে হয় একজন নতুন ক্রিকেটারের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ব্যাপারে এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব প্লেয়ার এবং সাপোর্ট স্টাফের সাপোর্ট পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

শুরুতে ফলোঅনের শংকা, আর এখন চালকের আসনে। পার্থক্য কেমন অনুভব করছেন? হাসান: আসলে শুরুতে দ্রুত উইকেট চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তখন আমরা আবার নতুন প্ল্যান নিয়ে আগাতে চেয়েছি। সবাই নিজেদের উপর বিশ্বাস ধরে রেখেছিল। আমরা আমাদের সতীর্থদের উপর বিশ্বাস রাখছিলাম। আমরা জানতাম যদি লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে সেট হয়ে রান তুলতে পারে তাহলে ম্যাচের মোমেন্টাম তারা পরিবর্তন করে দিতে পারবে। এটাই হয়েছিল গতকাল। 

পাকিস্তানের আথিতেয়তা কেমন লাগছে?  হাসান: আসলে যখন প্রথমে আসলাম দেখলাম পাকিস্তান অনেক সুন্দর। আবহাওয়া, নিরাপত্তা, শহর সবকিছু দুর্দান্ত ছিল। তবে ঠিকাছে এটা, এরকম খাবার খেতে হবে মাঝেমধ্যে। দারুণ সাহায্যপূর্ণ ছিল, স্বাস্থ্যকর ছিল। আপনারা চাইলে পাকিস্তানে আসতে পারেন। এটা অনেক নিরাপদ জায়গা।