ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১৯ উইকেট পেয়েছিলেন ডানহাতি অফস্পিনার। তাতে সিরিজ সেরা পুরস্কার উঠে তার হাতে। লম্বা সময় পর আবার মিরাজ পেলেন এই পুরস্কার। পাকিস্তানের অবিস্মরণীয় সিরিজ জয়ের নায়ক তিনি। সিরিজে ১৫৫ রান ও ১০ উইকেট পেয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার। পুরস্কার হিসেবে মিরাজ যে অর্থ পেয়েছেন তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার কথা বলেছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষের পর নিজের মতো বাংলায় কিছু কথা বলেন মিরাজ, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি। সম্প্রতি আমাদের দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, যেখানে অনেকে শহীদ হয়েছেন। এই আন্দোলনে একজন রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন, পরে উনি মারা যান। এই ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারটা তার পরিবারকে আমি দিতে চাই।’
প্রথম টেস্টে মিরাজ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার ফাইফারে পাকিস্তানের রান বেশিদূর যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। তবে প্রথম ইনিংসে তার ব্যাটিংয়ে ৭৮ রান ছিল দুর্দান্ত। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ উদ্ধার হয় মিরাজের ব্যাটে। কাউন্টার অ্যাটাকে দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি লিটন দাশের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে নেন।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘প্রথমে আমি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যিনি আমাকে ভালো একটি সুযোগ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে আমি সিরিজসেরা হয়েছি। আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত।’
‘একজন অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাটা খুবই কঠিন কাজ। ৮ নম্বরে ব্যাট করাটাও খুব কঠিন। আমি চেষ্টা করেছি স্ট্রাইক অদলবদল করে খেলে যেতে এবং মুশি-লিটন দাশের সঙ্গে ব্যাটিংটা উপভোগ করতে। ৫ উইকেট পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। মুহূর্তটা আমার জন্য উপভোগের। ইনশা আল্লাহ, সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’ – যোগ করেন মিরাজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া মিরাজ নিজেকে প্রস্তুত করেন টেস্ট সিরিজের জন্য। দেশের মাটিতে প্রায় দুই মাস বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে ছিলেন। এজন্য পেছনের কারিগরদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি, ‘আমি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলিনি। দেশে তখন আমার হাতে বেশ সময় ছিল। টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা অনেক সাহায্য করেছে আমাকে এবং অনেক পরিশ্রম করেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আর দেশের মাটিতে অনুশীলনের সময়গুলোও আমি বেশ উপভোগ করেছি। কখন দলের সবাই আমার পারফরম্যান্স নিয়ে খুবই আনন্দিত। তারা সবাই অনেক সমর্থন দিয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত। এই মুহূর্তটি কখনোই ভুলব না।’