খেলাধুলা

রেকর্ডের মালায় গাঁথা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পথে বেশ কিছু রেকর্ডকে বাংলাদেশ সঙ্গী করেছে। পাকিস্তানও হতশ্রী কিছু রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে। দাপটের সঙ্গে দুই টেস্ট খেলে বাংলাদেশ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিল, আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে দারুণ জবাব দিয়েছিল এবং নিজেদের স্নায়ু স্থির রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা একেবারে টইটুম্বুর। সংখ্যায় সংখ্যায় সেসব রেকর্ডে চোখ বুলানো যাক-

দেশের বাইরে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েকে হারায় ১-০ ব্যবধানে। এবার পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।

১০

টানা ১০ ম্যাচে ঘরের মাঠে কোনো টেস্ট জয় নেই পাকিস্তানের। ৪৯ বছর আগে সবশেষ তাদের টেস্ট ক্রিকেটে এমন অবস্থা হয়েছিল। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ১১ টেস্টে কোনো টেস্ট জিতেনি তারা। শেষ ২৫ বছরে এমন ঘটনা কেবল দুটি দেশের রয়েছে। ২০১৩ সালের পর ঘরের মাঠে ১৪ টেস্টে জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ২০০৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ২৭ টেস্টে কোনো ম্যাচ জিতেনি। এরও আগে ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে কোনো জয় পায়নি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের আগে পাকিস্তান ঘরের মাঠে সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাই তাদের হোয়াইটওয়াশের একমাত্র ঘটনা। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল।

টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থবার পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে ম্যাচ হারল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১২ রানের লিড পেয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং একেবারেই বাজে হওয়ায় ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে যায়। সবশেষ তাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানের লিড পেয়েছিল তারা। তারপরও ম্যাচ হারতে হয়েছিল।

১০

পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সবকটি উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথমবার বাংলাদেশের পেসাররা টেস্ট ক্রিকেটে ইনিংসে সবকটি উইকেট পেয়েছেন। হাসান মাহমুদ প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছেন। নাহিদ রানা পেয়েছেন ৪ উইকেট। তাসকিন আহমেদের পকেটে গেছে অপর উইকেটটি।

১৪

বাংলাদেশের পেসাররা টেস্টে ১৪ উইকেট পেয়েছেন। যা এক টেস্ট ম্যাচে পেসারদের সর্বোচ্চ সাফল্য্য। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও মিরপুরে তারা ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন।

২১

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রান তুলতে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের এতো কম রান করার পরও টেস্টে ম্যাচ জেতার ঘটনা বিরল। সবশেষ এমনটা হয়েছিল ১৮৮৭ সালে। ইংল্যান্ড ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে জয়ের স্বাদও পায়।

অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেননি শান মাসুদ। সংখ্যাটা পাঁচে গিয়ে ঠেকেছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সবচেয়ে বাজে টেস্ট অধিনায়ক তিনি। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে আট অধিনায়ক নিজেদের প্রথম পাঁচ টেস্টে সবকটি ম্যাচ হেরেছিল। যেখানে চারজনই আছেন বাংলাদেশের। খালেদ মাসুদ (১২), খালেদ মাহমুদ (৯), মোহাম্মদ আশরাফুল (৮) এবং নাঈমুর রহমান দূর্জয় (৫)। জিম্বাবুয়ের গ্রেম ক্রেমার (৬), নিউ জিল্যান্ডের কেন রাদাফোর্ড (৫) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৫) রয়েছেন এই তালিকায়।