পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজে তাদেরকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এর পেছনে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। দলকে সাফল্যে ভাসানোর ফলও পেলেন দুজন হাতেনাতে। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে টেস্ট র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে পৌঁছে গেছেন মিরাজ ও লিটন।
দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লিটন ১২ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৫ নম্বরে। ৬৮৮ রেটিং পয়েন্ট পাওয়া লিটনই এখন টেস্ট র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। এর আগে তার উপরে উঠতে পেরেছেন কেবল তামিম ইকবাল। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ১৪ নম্বরে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল।
লিটনের পরেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৭ নম্বর স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। তার অবস্থানে পরিবর্তন আসেনি। শেষ টেস্টে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা মিরাজ ১০ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ নম্বরে উঠেছেন। অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সপ্তম স্থানে উঠেছেন মিরাজ। টেস্টে শীর্ষ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
শুধু মিরাজ ও লিটন নয়, বল হাতে সেরা পারফর্ম্যান্স করার পুরস্কার পেয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের তিন পেসার। দ্বিতীয় ইনিংসে সবগুলো উইকেট নেন তিন পেসার। নাহিদ ৪টি, হাসান ৫টি ও অন্য উইকেটটি নেন তাসকিন।
তিন পেসারই র্যাঙ্কিংয়ে বেশ বড় লাফ দিয়েছেন। ২৩ ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাংকিংয়ে নাহিদ রানার অবস্থান ৯৭। ১১ ধাপ এগিয়ে তাসকিন এখন ৮৫ নম্বরে। তাসকিনের রেটিং পয়েন্ট ২৬৪। ক্যারিয়ার সেরা ৩৬৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে হাসানের বর্তমান অবস্থান ৫৭ নম্বরে, এগিয়েছেন ১৬ ধাপ।
পাকিস্তান সফরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া সাকিব আল হাসান পিছিয়েছেন দুই ধাপ, আছেন ৪৫ নম্বরে। বল হাতে সাকিবের অবস্থান ২৯ নম্বরে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শীর্ষে আছেন তাইজুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের অবস্থান ১৯ নম্বরে। মিরাজ আছেন ২২ নম্বরে। বোলারদের শীর্ষে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।