কতো কিছুই না হলো এক ম্যাচে! স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শেষ করেছে ১০.২ ওভার হাতে রেখে! কল্পনা করা যায়? ট্রেইলার দেখেই হয় তো বুঝে নিয়েছেন পুরো ছবিটা কেমন হয়েছে?
এডিনবার্গে অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ে রীতিমত উড়ে গেছে স্কটল্যান্ড। ট্রেভিস হেড যে-ই তাণ্ডব চালিয়েছেন তাতে স্রেফ তছনছ স্বাগতিকরা। বাঁহাতি ওপেনার মাত্র ২৫ বলে করেন ৮০ রান। তাতে ম্যাচটা ৭ উইকেটে সহজে নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে দুইটি। প্রথম, ৬২ বল হাতে রেখে এর আগে কোনো দল ১৫০ রানের বেশি তাড়া করে ম্যাচ জেতেনি। দ্বিতীয়, অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং ইনিংসের এক পর্যায়ে টানা ১৪ বলে বাউন্ডারি পেয়েছে। এর আগে কোনো ক্রিকেট ম্যাচে টানা ১৪ বলে বাউন্ডারির কোনো রেকর্ড নেই।
অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লে’তে ৬ ওভারে ১১৩ রান তুলেছে। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে রোমানিয়া ও সার্বিয়ার ম্যাচে ১১৬ রান তুলেছিল রোমানিয়া।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হেড ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। যা যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া হয়ে দ্রুততম। ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে হেড ১২ চার ও ৫ ছক্কা হাঁকান। পাওয়ার প্লে’তেই ৭৩ রান তুলে নেন হেড। যা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান। এছাড়া ১৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাওয়ার প্লে’তে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ৯.৪ ওভারে ১৫৫ রান তুলেছে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দশ ওভারে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে তৃতীয়।
এমন রেকর্ডময় ম্যাচে বাকি সব কিছুই আড়াল হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছে এই ম্যাচেও। অধিনায়ক মার্শ ১২ বলে করেছেন ৩৯ রান। এছাড়া জশ ইংলিশ ১৩ বলে ২৭ রান করেন। প্রবল আলোচনায় থাকা তরুণ ব্যাটসম্যান ফ্রেসার মাকগার্গ নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি। ৩ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা।
স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। ওপেনিংয়ে জর্জ মুনসি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। এছাড়া ম্যাথু ক্রস ২৭ এবং রিচি বেরিংটন ২৩ রান করেন।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়া সহজেই জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। ৬ সেপ্টেম্বর একই মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।