খেলাধুলা

রোনালদোর চোখে ভবিষ্যতে ব্যালন ডি’অরে রাজত্ব করবেন যারা

ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের এবারের মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পাননি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সময় এখন তরুণদের। রোনালদো নিজেও সেটা স্বীকার করলেন। জানালেন, কারা ভবিষ্যতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারের লড়াইয়ে।

রোনালদোর চোখে আগামীতে ব্যালন ডি’অরের লড়াইটা হবে কিলিয়ান এমবাপ্পে, আরালিং হালান্ড, জুড বেলিংহ্যাম ও লামিনে ইয়ামালের মধ্যে। বর্তমানে ইউরোপের ফুটবলে অভিজ্ঞ তারকাদের পাশাপাশি প্রতিভার ঝলক দেখাচ্ছেন ইয়ামাল-বেলিংহ্যামের মত প্রতিভাবান কিশোর-তরুণের দল।

বর্তমানে মেসি ও রোনালদোর বয়স যথাক্রমে ৩৭ ও ৩৯।  দুজনই খেলছেন ইউরোপের বাইরে। গেল মৌসুমে দলীয়ভাবে তেমন সাফল্যও দেখাতে পারেননি কেউ। ফলে ২০২৪ সালের প্রাথমিক তালিকাতেও ছিলেন না। বন্ধু রিও ফার্ডিনান্ডের সঙ্গে আলাপকালে রোনালদো তাই ভবিষ্যতের দিকেই মন দিলেন।

পর্তুগিজ তারকার পেওথম বাজি এমবাপ্পে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এমবাপ্পে খুব ভালো করবে। তার ক্লাবের (রিয়াল মাদ্রিদ) ইতিহাস-ঐতিহ্য-সাফল্য থেকে শুরু করে সবকিছুই চমৎকার। তাদের একজন চমৎকার কোচ ও সভাপতি আছেন। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, যিনি কী না অনেক বছর ধরে এখানে আছেন।’

‘আমি মনে করি, এটা (ব্যালন ডি’অর) জেতা তার (এমবাপ্পে) জন্য মোটেই বড় কোনো সমস্যা হবে না। এমবাপ্পে পরবর্তী ব্যালন ডি’অর জিতে নিবে। এমবাপ্পে, হালান্ড, বেলিংহ্যাম ও ইয়ামাল; এই নতুন প্রজন্মের সামনে অনেক সম্ভাবনাময় পথ রয়েছে।’– আরও যোগ করেন রোনালদো।

ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে একসময় মেসি ও রোনালদোর একক আধিপত্য ছিলো। ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুজন মিলে মোট ১৩ বার দখল করেছেন এই পুরস্কার। এর মধ্যে মেসির ৮ বারের বিপরীতে রোনালদো এই পুরস্কার বাগিয়েছেন ৫ বার। এই সময়ের মধ্যে মোটে ৩ বার দুজনের বাইরে অন্য কেউ জিতেছে এই পুরস্কার।

মেসি ও রোনালদোর দ্বৈরথকে বলা হয় ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দ্বৈরথ। যেখানে রোনালদো শুরুতে ইউরো জিতে এগিয়ে গেলেও মেসি বিশ্বকাপ জিতে তাকে ছাড়িয়ে যান। সেই সঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক কোপা আমেরিকার শিরোপাও নিজের করে নেন মেসি। তাও একই লড়াইয়ে একই কাতারেই দুজন। এবার সেই কাতারে নতুন প্রজন্মের সাফল্য গাঁথার পালা।