লা লিগার গেল মৌসুমে দুইবারের দেখায় বার্সেলোনাকে পরাজয়ের স্বাদ দেয় জিরোনা। চলতি মৌসুমেও মুখোমুখি হওয়ার আগে আরেকবার কাতালান দলটিকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছিল তারা। তবে এবার হলো ঠিক উল্টোটা। বার্সেলোনার প্রতিশোধের আগুনে পুড়লো জিরোনা। লামিনে ইয়ামালের নৈপুণ্যে ৪-১ গোলে জিতেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
এই ম্যাচে নিজেকে আরেকবার চেনালেন লামিনে ইয়ামাল। স্পেনকে ইউরো জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখা এই কিশোর পুরো ম্যাচে দারুণ খেলে তুলে নিয়েছেন জোড়া গোল। একটি করে গোল করেছেন তার জাতীয় দলের অন্য দুই সতীর্থ পেদ্রি ও দানি ওলমো।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। জিরোনার দূর্গে তারা প্রথম আক্রমণটি করে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে। ইয়ামালকে হতাশ করেন জিরোনা গোলরক্ষক পাওলো গাস্সানিগা।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, টিকিটাকার ছন্দ থেকে বের হয়ে বার্সেলোনা গতিময় ফুটবলের নাড়িয়ে দেয় জিরোনাকে। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সে ডেভিড লোপেজের খামখেয়ালিতে দৌড়ে গিয়ে বল কেড়ে নেন ইয়ামাল। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন বার্সেলোনা তারকা।
গোল পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ইয়ামাল ছিলেন দুরন্ত। ছয় মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তরুণ। রাফিনিয়ার ফ্রি কিকে বল ডি-বক্সে রবার্ট লেভানডোভস্কির ছোঁয়ায় বল পেয়ে যান ইয়ামাল। ছুটে গিয়ে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন তিনি। এই বল দেখার কোনো সুযোগই ছিল না জিরোনা গোলরক্ষকের।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায়। ৪৭তম মিনিটে জুলেস কুন্দের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ওলমো।
এরপর ৬৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন পেদ্রি। মার্ক কাসাদোর দুর্দান্ত রক্ষণ চেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে ড্রিবলিংয়ে স্রেফ চোখ ধাঁধিয়ে দেন স্প্যানিশ তরুণ। গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
জিরোনা একমাত্র গোলটি করে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে। এরপর ৮৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে তরেস মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। এক জন বেশি থাকার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি জিরোনা। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে চলতি মৌসুমে অপরাজিত থাকা বার্সেলোনা।
এ নিয়ে টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় চূড়ায় আছে বার্সেলোনা। ১১ করে পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিয়ারিয়াল। তারা অবশ্য একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে।