খেলাধুলা

কেইনের ৪, দিনামোর জালে বায়ার্নের ৯ গোল

এই দিনটি নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবে দিনামো জাগরেব। ভুলে যাওয়ার মতোই দুঃস্বপ্ন তাদেরকে উপহার দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এক হ্যারি কেইন ঝড়ের কাছেই অসহায় হয়ে পড়েছিল দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কেইনের চার গোলে দিনামোকে ৯-২ গোল উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ৯ গোল করার কীর্তি গড়লো তারা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শাণিয়ে একে একে চারটি গোল করেন কেইন। ওলিসে করেন দুই গোল। বাকি তিন গোলদাতা রাফায়েল গেররেইরো, লেরয় সানে ও লেয়ন গোরেটস্কা।

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের জের ধরে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আলেকজান্ডার পাভলোভিচ ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পরে ভিএআরের সাহায্য চান রেফারি। সংকেত পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন তিনি। নিখুঁত স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন বায়ার্নের জার্সিতে গোলের পর গোল করে চলা কেইন।

এরপর ৩৪ তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ দিক থেকে আসা এক সতীর্থের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে নেন তরুণ জামাল মুসিয়ালা। এরপর পাশে থাকা গেররেইরোকে খুঁজে তরুণ জার্মান ফরোয়ার্ড। বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

এর চার মিনিট বাদেই তৃতীয় গোলটি পেয়ে যায় বায়ার্ন। এবার সহায়তা করেন জশুয়া কিমিখ। গোলমুখ তার বাড়ানো বল ক্রসে দারুণ হেডে গোলটি করেন ওলিসে। প্রথমার্ধে তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।

দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্ন শিবিরে শঙ্কা জাগিয়ে তোলে দিনামো। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে লক্ষ্যে দুটি শট নিয়ে দুটিই জালে জড়ায় তারা। ৪৮তম মিনিটে মার্কোর পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দলের প্রথম গোলটি করেন ব্রুনো পেতকোভিচ। দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান আরও কমান তাকুইয়া ওগিওয়ারা।

মুহূর্তের ব্যবধানে জোড়া গোল খেয়ে যেন আরও তেতে ওঠে বায়ার্ন। এরপর যা হলো সেটাকে বলা চলে ঝড়। ৫৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন কেইন। এরপর ৬১তম মিনিটে দলীয় গোলের সংখ্যাটা পাঁচে নিয়ে যান ওলিসে।

কেইনের হ্যাটট্রিক আসে ৭৭তম মিনিটে। দিনামোর বক্সে আলফুঁস ডেভিস ফাউলের শিকার হলে তৃতীয় পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। স্পটকিক থেকে সহজেই জাল খুঁজে নেন ইংলিশ তারকা। এই হ্যাটট্রিকে চলতি মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে ছয় ম্যাচে কেইনের গোল হলো আটটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৫ ম্যাচ খেলে ৩৩টি গোল করলেন কেইন।

সাত নম্বর গোলটি হজমের পর যেন পুরো খেই হারিয়ে ফেলে দিনামো। এই সুযোগে আরও ঝেঁকে বসে জার্মান মেশিনরা। বাকি সময়ে স্কোরলাইনে নাম লেখান তাদের দুই বদলি খেলোয়াড় সানে ও গোরেটস্কা। ৮৫তম মিনিটে সানে গোল করার পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হেডে জালে বল জড়ান গোরেটস্কা।