খেলাধুলা

ব্যাটসম্যানরাও ম্যাচ জেতাবে বিশ্বাস করেন তিলকারত্নে

নারীদের ক্রিকেটে বোলারদের উন্নতি যতটা হয়েছে ব্যাটসম্যানরা ঠিক ততটাই পিছিয়ে পড়েছে। ব্যাটিং লম্বা সময় ধরেই দুশ্চিন্তার কারণ। ছোট দলগুলোর বিপক্ষে সাফল্য আসলেও বড় দলের বিপক্ষে ভুগতে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানদের পালফরম্যান্সে ছন্দ থাকে না।

সামনেই আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গত ১০ বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচবার অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের পর চার আসরে কোনোবারই বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে পারেনি। এবার শুধু জয়ই নয় সেমিফাইনালের স্বপ্নও দেখছে বাংলাদেশ। সেজন্য ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস, লম্বা সময় ক্রিজে থাকা, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পেতে দলকে সাহায্য করার বিকল্প নেই।

এ সবই এবার ২২ গজে দেখা যাবে বলে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের কোচ হাসান তিলকারত্নে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে হাসান তিলকারত্নে বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ব্যাটিং আমাদের দুশ্চিন্তার জায়গা। যদিও আমরা শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের সফরে ইতিবাচক কিছু পেয়েছি। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। আমি নিশ্চিত করে বলছি তারা আমাদের হয়ে ম্যাচ জেতাবে।’

এবার দলে রয়েছেন সাথি রাণী। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচে ২৮৪ রান করেছেন দুই সেঞ্চুরিতে। তাকে ঘিরে বড় প্রত্যাশা তিলকারত্নের, ‘তার দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। প্রথম ছয় ওভারে একাই ২০-২৫ রান তুলবে সেই সামর্থ্য তার রয়েছে। তার সেই মানসিকতা এবং টেকনিক্যাল জ্ঞানও আছে। হিসেব কষে বেশ ভালো ব্যাটিং করতে পারে সে।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে বড় চমক তাজ নেহার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করে বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছেন তাজ। সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে  ৪ ইনিংসে ১০২.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৯৪ রান করেন তিনি। এর আগে প্রিমিয়ার লিগে ৮ ম্যাচে করেন ২৩৪ রান। তার থেকেও প্রত্যাশা উচুঁতে কোচের, ‘মধ্য ওভারগুলোতে কেউ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করবে সেটাই আমরা চাই। তার বোলারদের ওপর আক্রমণ করার সামর্থ্য রয়েছে। এজন্য তাকে নেওয়া হয়েছে।’