ইংল্যান্ড জয়ের পথেই ছিল। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের হার না মানা সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩০৫ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৩৭.৪ ওভারে তুলে নেয় ২৫৪ রান। হাতে ৬ উইকেট রেখে ৭৪ বলে লাগত কেবল ৫১ রান।
এরপরই বৃষ্টির বাগড়া। চেস্টার লি স্ট্রিটে ঝুম বৃষ্টিতে ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস আইনে ইংল্যান্ড তখন ৪৬ রানে এগিয়ে। এই ব্যবধানেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের জয়রথ থামাল ইংল্যান্ড। টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম হারল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। দিনের হিসেবে ৩৪৮ দিন পর প্রথম ওয়ানডে হার।
২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ১৪ জয় তাদের। এ রকম জয়ের রথ অস্ট্রেলিয়ার এবারই প্রথম নয়। ওয়ানডে ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দল যারা টানা ২১ ম্যাচ জিতেছে। ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০০৩ সালের ২৪ মে পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল অসিরা। মজার বিষয়, দুইবারই অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
ইংল্যান্ডের জন্য আজকের ম্যাচটা জয়ের বিকল্প ছিল না। প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে পিছিয়ে ছিল। আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সেরা ক্রিকেট বেরিয়ে আসল ব্রুকের। ৯৪ বলে ১১০ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া উইল জ্যাকস ৮২ বলে করেন ৮৪ রান। ওপেনিংয়ে ফিল সল্ট শূন্য ও বেন ডাকেট ৮ রানে থেমে যান। লিয়াম লিভিংস্টোন ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। পঞ্চম উইকেট অবিচ্ছন্ন জুটিতে ব্রুক ও লিভিংস্টোন করেছিলেন ৫৭ রান।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ছিল দুই ফিফটি। সাবেক অধিনায়ক স্মিথ ৮২ বলে ৬০ রান করেন। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করা অ্যালেক্স ক্যারি ৬৫ বল খেলেন। ৭ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া অ্যারোন হেড্রি ৪৪ ও ক্যামেরন গ্রিন ৪২ রান করেন।
ইংল্যান্ডের বোলারদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেন জফরা আর্চার। বাকিরা পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ায় ব্রুক পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া ২৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি হবে লর্ডসে।