খেলাধুলা

শঙ্কা উড়িয়ে গোয়ালিয়রে দর্শকদের বাঁধভাঙা উল্লাস

স্টেডিয়াম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়া গেল আঁচ। দূরত্ব যতই কমছিল ততই বাড়ছিল দর্শকদের জট। আশেপাশে বিরাণভূমি থাকায় সেখানে হয়ে গেছে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান। যেদিকে চোখ যায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি।

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধব রাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের আশেপাশের দৃশ্য এগুলো। টসের আগেই ভরে যায় গ্যালারির ৩০ হাজার আসন। গ্যালারিতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই।

১৪ বছর পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে গোয়ালিয়রে। সবশেষ ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ম্যাচ হয়েছিল। ক্যাপ্টেন রুপ সিং স্টেডিয়ামে এরপর আর কোনো ম্যাচ গড়ায়নি। নতুন এই স্টেডিয়াম আজকের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখছে। এটি ভারতের ৫৪তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু।

খেলা শুরুর আগে মাঠে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা এক যুগলের সঙ্গে কথা হয় রাইজিংবিডির। প্রথম খেলা দেখতে মাঠে এসেছেন শুভম ও হার্পিতা নামে এই যুগল।

‘অনেক রোমাঞ্চিত আমরা। এটা নতুন স্টেডিয়াম। আগেরটিতে শচীন ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিল...। আমাদের জন্য এটা অন্যরকম দিন, আমাদের জন্য উৎসবের মতো। ভারত জিতবে এটাই চাই। বাংলাদেশ ভালো দল কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু ভারত জিতবে’-বলছিলেন শুভম। 

হার্পিতা বলেন, ‘আমি প্রথমবার সরাসরি খেলা দেখতে এসেছি। খুবই রোমাঞ্চিত লাগতেছে। পুরো এনার্জি নিয়েই মাঠ মাতিয়ে রাখতে চাই। কোহলি না থাকায় কিছুটা হতাশ। তবে সুরাইয়া আমাদের খুবই পছন্দের।’

রোমাঞ্চের সঙ্গে আছে আক্ষেপও। রাহুল নামে গোয়ালিয়রের স্থানীয় এক ব্যাবসায়ী বলেন, ‘এতদিন পর খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছি, আমরা হাতছাড়া করিনি। আশা করি বিসিসিআই আরও বেশি খেলা দেখার সুযোগ করে দেবে।’