খেলাধুলা

সাত দলের নাম প্রকাশ, ড্রাফট তালিকায় সাকিব-মাশরাফি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এগারতম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। ড্রাফটের তিনদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অংশগ্রহণকারী সাত দলের নাম প্রকাশ করেছে। পুরোনো চার ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে তিন প্রতিষ্ঠান। বাদ পড়েছে তিন পুরোনো দল। ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স এবারও বিপিএলে অংশ নিচ্ছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস (ওয়ালটন গ্রুপ/হারল্যান অ্যান্ড রিমার্ক ব্র্যান্ড), দুর্বার রাজশাহী (ভ্যালেনটাইন গ্রুপ) এবং চিটাগং কিংস (এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড)।

চিটাগংয়ের মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি বিপিএলের প্রথম দুই আসরের পর আবার ফিরলো। দলগুলোর নাম ঘোষণার দিনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ড্রাফট তালিকাও প্রকাশ করেছে। ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮৮ স্থানীয় ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

যেখানে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৬০ লাখ। সর্বনিম্ন ‘এফ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক ১০ লাখ। ড্রাফট তালিকায় তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাকিব আল হাসান ও মাশরাফির নামও রয়েছে।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাশরাফি ও সাকিব বিপিএল খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। দুজন সাবেক সংসদ সদস্যের নামে এরই মধ্যে দুটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিব দেশের বাইরে থাকলেও সরকার পতনের পর মাশরাফি দেশেই অবস্থান করছেন।

সাকিব ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬০ লাখ পারিশ্রমিক পেলেও মাশরাফি রয়েছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। যেখানে পারিশ্রমিক ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন। ড্রাফটের আগেই অবশ্য তারা দল পেয়ে যেতে পারেন। রিটেইন বা সরাসরি চুক্তিতে দল পেতে পারেন তারা। বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পুরোনো চার ফ্র্যাঞ্চাইজি শেষবারের স্কোয়াড থেকে সর্বোচ্চ দুজন এবং সরাসরি চুক্তিতে একজন খেলোয়াড় স্কোয়াডে নিতে পারবেন। এছাড়া নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি সরাসরি চুক্তিতে দুজন খেলোয়াড় নিতে পারবেন।

গত আসরের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বাদ পড়েছে। ওই তিন দলের খেলোয়াড়দের চাইলেই যেকোনো দল সরাসরি চুক্তিতে দলে নিতে পারেন আবার চাইলে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দলে নিতে পারেন।

ড্রাফটে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১২ জন করে খেলোয়াড়। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছে ২২ খেলোয়াড়। ‘ডি’, ‘ই’, এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে আছে যথাক্রমে ২৮, ৫১ ও ৬৩ খেলোয়াড়। দলগুলোর স্কোয়াড সর্বনিম্ন ১২ জন হতেই হবে। যেখানে ১০ জন স্থানীয় এবং ২ জন বিদেশি খেলোয়াড় বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। বিদেশি খেলোয়াড় যত খুশি তত নিবন্ধন করানো যাবে। তবে খেলানো যাবে সর্বোচ্চ ৪ জন। এছাড়া স্থানীয় ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ১৪ জন নেওয়া যাবে।