খেলাধুলা

পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা দিলো ইংল্যান্ড

ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনেই। জো রুটের ডাবল ও হ্যারি ব্রুকের ট্রিপল সেঞ্চুরিতেই মূলত লেখা যায় ম্যাচের ভাগ্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শেষ বিকেলেই ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয় আরেকটু সহজ করে নেয় পাকিস্তান। পঞ্চম দিন সকালেই ২২০ রানে গুটিয়ে যায় শান মাসুদের দল। মুলতান টেস্টে ইংলিশদের জয় ইনিংস ও ৪৭ রানে।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৫৫৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড তুললো রেকর্ড গড়া ৭ উইকেটে ৮৩২ রান। ২৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। সেখান থেকে সালমান আগা ও আমের জামাল ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন ইনিংস খেলে ১৫২ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে। তবে পঞ্চম দিনে বাকি চার উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ২২০ রানে।

১১৫ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম ও শেষদিন শুরু করে পাকিস্তান। তবে সালমান ও জামালের জুটিকে বেশিদূর যেতে দেননি জ্যাক লিচ। তার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৬৩ রানে শেষ হয় সালমানের ইনিংস। এর মধ্যেই ফিফটি তুলে নেন জামাল, একবার জীবনও পান।  এদিকে শাহিন আফ্রিদিকেও ১০ রানে বিদায় করেন লিচ। নাসিম শাহ এসে ছক্কায় ঝরের ইঙ্গিত দিলে তাকেও ফিরিয়ে দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন লিচ।

পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ধ্বসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন লিচ। মাত্র ৬.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ব্র্যাডন কার্স ও গাস অ্যাটকিনসন। ১টি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।

এর আগে প্রথম ইনিংসে রুটের ৩৭৫ বলে ১৭টি চারে ২৬২ ও ব্রুকের ৩২২ বলে ২৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩১৭ রানে ভর করে রান পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড। ব্রুকের সঙ্গে রেকর্ড ৪৫৪ রানের জুটি গড়েন রুট। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ৮২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।

বল হাতে পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব ও নাসিম শাহ ২টি করে উইকেট নেন। তাদের ছয় বোলারের প্রত্যেকে শতাধিক রান দেন। তার মধ্যে আবরার আহমেদ ৩১ ওভারে ১৭৪, নাসিম ৩১ ওভারে ১৫৭, আমের ২৪ ওভারে ১২৬, শাহীন আফ্রিদি ২৬ ওভারে ১২০, সালমান ১৮ ওভারে ১১৮ ও সাইম ১৪ ওভারে ১০১ রান দেন।

এরপর পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শূন্যরানেই আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায়। ২৯ রানের মাথায় শান মাসুদ আউট হন ব্যক্তিগত ১১ তে। দলীয় রান যখন ৪১ তখন ফিরেন বাবর আজমও। তিনি করেন ৫ রান। একই রানে সাইম ফিরেন ৪টি চারে ২৫ রান করে। আগের ইনিংসে ডাক মারা রিজওয়ান দলীয় ৫৯ রানের মাথায় আউট হন ১ চারে ১০ রান করে। ৮২ রানের মাথায় সৌদ শাকিল ৪টি চারে ২৯ রান করে ফেরার পর সালমান ও আমের মিলে দিন শেষ করে আসেন।