খেলাধুলা

‘ভারত সফরে আসতে পেরে ভাগ্যবান, প্রতিদিন শেখার দিন’- মনে করেন পোথাস

চেন্নাই, কানপুর, গোয়ালিয়র থেকে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশ দল এখন হায়দরাবাদে। চেন্নাই থেকে শুরু করে দিল্লি; লাল সবুজের দল কোথাও হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি। নাজমুল হোসেন শান্তদের পারফরম্যান্স বলছে আরও একটি বাজে দিন অপেক্ষা করছে। তবে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট এই হারকেও ইতিবচাকভাবে নিয়ে শেখার বিষয়টি ভাবছেন।

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।  সঙ্গে ভারতে বড় দলগুলোর নাকানিচুবানি খাওয়ার কথাও বলতে ভুল করেননি এই প্রোটিয়া কোচ।

‘ভারতে অনেক দলই এসে বাজে সফর কাটিয়ে যায়। আমাদেরকে যেদিকে নজর দিতে হবে তা হচ্ছে শিখতে পারছি কী না, সামনের দিকে তাকাতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে সামনে, টি-টোয়েন্টি আছে।’

‘আমরা সবসময়ই জিততে চাই, দুনিয়ার যেকোনো খেলাতেই এটি সবাই করে থাকে। তবে আমাদের বাস্তবিকভাবেও চিন্তা করতে হবে। আমরা কিছুটা ভাগ্যবানও যে ভারত সফরে আসতে পেরেছি। কারণ এখানে অনেক কিছু শেখা হয়েছে আমাদের। শিক্ষাটা সৎভাবে হতে হবে’-আরও যোগ করেন পোথাস।

এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফরে এসেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জিতেছিল দিল্লিতে। এবার প্রথম দুটি হেরে ইতিমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে কী হবে বলে দেবে সময়। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ ধরলে, পাঁচ বছর আগের পারফরম্যান্স থেকেও যেন অবনতি হয়েছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে।

বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে হারে ২৮০ রানে, দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে হারে ৭ উইকেটে।  গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয়টিতে হারে ৮৬ রানে। যেটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।  বারবার শেখার কথা বললেও পারফরম্যান্সের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। যত সামনে যাচ্ছে ততো বেশি খারাপ হচ্ছে।

কি শিখছে বাংলাদেশ? সেটিও বলে দিয়েছেন পোথাস, ‘আপনি চাইলে বিশ্বের সেরা কারও সাথে কথা বলে দেখতে পারেন, তারা আপনাকে বলবে যে, প্রতিদিনই শেখার দিন। যখন আপনি শেখা বন্ধ করে দেবেন, তখনই সমস্যা শুরু হবে। ফলে এটা কোনো সমস্যা নয় আমাদের। এমনকি ভারতের সূর্যকুমার যাদবও ম্যাচ শেষে বলেছিল সে অনেক কিছু শিখেছে, কীভাবে বোলারদের ব্যবহার করতে হবে। সবসময় আপনাকে শিখতে হবে।’