খেলাধুলা

রিশাদকে নেবে কে?

জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। বিপিএলের ড্রাফটে এ ক্যাটাগরিতে তাকে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। পারিশ্রমিক ৬০ লাখ। ধারনা করা হচ্ছিল, প্রথম সুযোগেই বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাকে দলভুক্ত করবে। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটারদের চার রাউন্ডের ডাক শেষ হলেও জাতীয় দলের লেগ স্পিনারকে এখনও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে টানেনি।

সুযোগ ছিল তাকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নেওয়ার। সেখানেও তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি নতুন, পুরোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিপিএলের ড্রাফটে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, অতি মূল্যের কারণেই রিশাদকে এখন পর্যন্ত দলে টানেনি কোনো দল।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে এবার রিশাদসহ ছিলেন লিটন, মাহমুদউল্লাহ, শান্ত ও তাসকিন। বাকিরা দল পেয়ে গেলেও লেগ স্পিনারকে নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।

জানিয়ে রাখা ভালো, এখন পর্যন্ত স্থানীয় কোনো লেগ স্পিনারকে নেয়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। রিশাদ বাদে ড্রাফট তালিকায় আছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জুবায়ের হোসেন লিখন ও ওয়াসি সিদ্দিকী। তারা এখনও দল পাননি।

জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বিবর্ণ ছিল তার পারফরম্যান্স। ৩ ম্যাচে ৪২.৩৩ গড় ও ১৪.১১ ইকোনমিতে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এর আগে বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ।

৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৩.৮৫ এবং ইকোনমি ছিল ৭.৭৬। লেগ স্পিনের পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যেই চাহিদা তা পূরণ হয় তার ব্যাটে। অথচ বিপিএলে এখন পর্যন্ত উপেক্ষিত ২২ বছর বয়সী রিশাদ।

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে কেবল ৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। তিন ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছিলেন ৬টি। সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রিশাদ ৫ ম্যাচ খেলেছেন। বোলিং করেছেন কেবল ১১ ওভার। উইকেট পেয়েছেন ৬টি।