খেলাধুলা

রিশাদে আস্থা রাখলো বরিশাল

বিপিএল ড্রাফটে তিন রাউন্ডে দুইবার করে বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খেলোয়াড় ডাকার সুযোগ পেয়েছিল। তিন রাউন্ডে সব মিলিয়ে ৪২ ক্রিকেটার দল পেলেও উপেক্ষিত ছিলেন জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনারের প্রতি প্রথম তিন রাউন্ডে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে চতুর্থ রাউন্ডে এসে ফরচুন বরিশাল আস্থা রাখলো এই লেগ স্পিনারের ওপর।

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লেগ স্পিনারকে দলে ভিড়িয়েছে চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় ডাকে। ধারনা করা হচ্ছিল, অতি উচ্চমূল্যের কারণে রিশাদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিল না কোনো দল। এছাড়া লেগ স্পিনার দলভুক্ত করার ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টানাপোড়েনে ভোগেন।

রিশাদকে এবার এ ক্যাটাগরিতে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন নির্বাচকরা। সবশেষ বিশ্বকাপে দলের সেরা বোলারের চাহিদা থাকবে এমনটা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ড্রাফটে এসে উল্টোচিত্র দেখা গেল। প্রথম তিন রাউন্ডে ‘অবিক্রিত’ থাকার পর চতুর্থ রাউন্ডে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের বরিশাল তার ওপর আস্থা রেখে তাকে দলে ভিড়িয়েছে।

জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ক্রিকেটার রিশাদ সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বিবর্ণ ছিলেন। ৩ ম্যাচে ৪২.৩৩ গড় ও ১৪.১১ ইকোনমিতে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছেন। তবে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৩.৮৫ এবং ইকোনমি ছিল ৭.৭৬।

লেগ স্পিনের পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যেই চাহিদা তা পূরণ হয় তার ব্যাটে। একটি পরিসংখ্যান, বিপিএলের দলগুলোর লেগ স্পিনারের প্রতি অনীহার চিত্র আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলবে।

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে কেবল ৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। তিন ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছিলেন ৬টি। সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রিশাদ ৫ ম্যাচ খেলেছেন। বোলিং করেছেন কেবল ১১ ওভার। উইকেট পেয়েছেন ৬টি। এবার বরিশালের জার্সিতে রিশাদ মাঠে নামবেন। এবার কি ধারাবাহিক সুযোগ পাবেন রিশাদ সেটাই বিরাট প্রশ্নের। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আসবে সুযোগ মেলার পর।