বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এগারোতম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে উপেক্ষিত থাকলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শুভাগত হোম, মুমিনুল হক ও রুবেল হোসেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর একটি হোটেলে। ড্রাফটে ১৯৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটার ছিলেন। সাত দল আগেভাগেই সেই তালিকা থেকে সরাসরি চুক্তি ও রিটেইনের মাধ্যমে ১৭ ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করে। বাকি ১৮১ ক্রিকেটারের মধ্যে ৭২ জন ড্রাফট থেকে দল পেয়েছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ ও পারফর্মার মোসাদ্দেক হোসেন। সবশেষ বিপিএলে খুব একটা ভালো না গেলেও ঢাক লিগে পারফর্ম করেছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু এবার সাত দলের কেউ অফস্পিন অলরাউন্ডারের ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে তকমা পাওয়া মুমিনুল হক বরাবরই ড্রাফটে দল পান না। গত কয়েক বছরে একই চিত্র দেখা যায়। পরে ড্রাফটের বাইরে তাকে দলে নেয় দলগুলো। গতবার তিনি খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সে। এবারও দল পাননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাকে পরবর্তীতে কোনো দল নেয় কি না সেটা দেখার।
এদিকে শুভাগত হোমের দল না পাওয়া ব্যাপক বিস্ময় ছড়িয়েছে। গত দুই আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে রিটেইন হিসেবে ছিলেন শুভাগত। অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন। পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা। তবে এতোটাও খারাপ ছিল না যে দল পাবেন না।
এছাড়া পেসার রুবেল হোসেনও দল পাননি। গতবার খুলনা টাইগার্সে খেললেও তার পারফরম্যান্স ছিল চরম বাজে। এছাড়া ঢাকা লিগ বাদে খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। তাকে দলে নেওয়ার কোনো কারণ দেখে না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া সৈকত আলী, নাজমুল ইসলাম অপু, ফজলে রাব্বী, সাদমান ইসলাম ও শামসুর রহমানরা দল পাননি। ইনজুরিতে ভোগা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী আরও একটি বিপিএল মিস করতে যাচ্ছেন।
ড্রাফটের বাইরে আরও অনেক ক্রিকেটার আছেন। যাদেরকে চাইলে পরবর্তীতে দলে নিতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।