খেলাধুলা

ঢাকায় ফেরা হচ্ছে না, দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন সাকিব 

শঙ্কা সত্যি হতে যাচ্ছে। দুবাই থেক যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরবেন সাকিব আল হাসান। দেশে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওয়ানা দিয়েছিলেন। দুবাই অবস্থান করছিলেন ট্রানজিটে। তবে শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সাকিবের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ও পরিচালকরা এই নিয়ে একটি জুম মিটিংও করেন। সাকিবের মাঠের বাইরের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবিও সন্দিহান। এই মুহূর্তে সাকিব যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিতেই তাদের মত বলে জানা গেছে।

জুম মিটিং শেষে একজন পরিচালক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি। বিষয়টি এখন তার ওপর। মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। বাইরের বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ের। সাকিব যেহেতু বলে দিয়েছে মনে হয় না ফিরছে আর।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। তাকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। তবে রাত হতেই দেখা দেয় জটিলতা। দুবাইয়ে অবস্থান করা সাকিবকে দেশে ফিরতে বারণ করে দেয় সরকারের উচ্চমহল। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আর দেশের বিমান ধরেননি সাকিব।

সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে জল্পনার শুরু আগস্টে। ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে জাতীয় তারকা হিসেবে সাকিবের সমর্থন আশা করছিল দেশবাসী। তবে জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার ছিলেন নীরব।

সারা দেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে চারদিকে যখন রক্তাক্ত, সাকিব তখন কানাডায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। সাফারিতে গিয়ে মাই ডে-তে একটি পোস্টে সাকিব লিখেছিলেন, টরেন্টোতে একটি চমৎকার দিন কাটালাম। এই পোস্টের সূত্র ধরে তার উপর ক্ষোভ জমতে থাকে দেশবাসীর।

সাকিবের নামে হয়েছে মামলাও। মোহাম্মদপুরে একজন গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় আসামী করা হয় সাকিবকে। মামলার ঝামেলা মাথায় নিয়েই ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন সাকিব। সিরিজের মাঝপথেই বিদায় জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিকে। সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে নিতে চেয়েছেন অবসর।