খেলাধুলা

বেঙ্গালুরুতে বড় লিডের পথে নিউ জিল্যান্ড

চেন্নাই টেস্টে বড় লিডের পথে নিউ জিল্যান্ড। ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড। ১৩৪ রানে এগিয়ে আছে টম লাথামের দল। ৩৪ বলে ২২ রান করে অপরাজিত আছেন রাচিন রবীন্দ্র। ৩৯ বলে ১৪ রান করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ড্যারিল মিচেল।

চেন্নাইয়ের প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমেই নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তোপে পড়ে ভারত। খেলা শুরু হতেই দেখা গেল পিচের খেল। উইকেট উৎসবের শুরুটা করেন টিম সাউদি। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৯ রানে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে দেন অভিজ্ঞ এই পেসার। সেই শুরু। এরপর স্বাগতিক ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিয়ে।

বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন কেবল যশস্বী জয়সওয়াল (৬৩ বলে ১৩) ও ঋষভ পন্ত (৪৯ বলে ২০)। এ দুজন চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ বলে ২১ রানের জুটি। বাকিদের ইনিংস এক করলে মোবাইল নাম্বার চলে আসে। পুরো ইনিংসে মাত্র মাত্র চারটি বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছে ভারত।

পাঁচজন ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি। বিরাট কোহলি ৯ বলে ০ রানে লেগ গালিতে ক্যাচ দেন ও’রুকের বলে। এর আগে সবশেষ ১৯৯৯ সালে মোহালিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই ভারতের ৫জন আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। সেদিন ভারত অলআউট হয়েছিল ৮৩ রানে।

শূন্য সংখ্যাটা ভারতের ব্যাটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউনে এক ইনিংসে ভারতের ৬ ব্যাটসম্যানও শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ঘটনা ঘটেছিল।

শূন্যের খেলায় আছে বাংলাদেশের নামও। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউটের তালিকায় সবচেয়ে বেশি তিনবার এসেছে বাংলাদেশের নাম। তবে ৬ জন শূন্য রানে ফেরার পরও সর্বোচ্চ স্কোরটা বাংলাদেশেরই, ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ৩৬৫ রান।

ভারতের ইনিংসে তোপটা দেগেছেন পেসার ম্যাট হেনরি। ৩২ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার ৫ উইকেট নিতে খরচ করেন ১৫ রান। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন তরুণ ডানহাতি পেসার ও’রুক। ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন সাউদি।

জবাবে নিউ জিল্যান্ড এগিয়েছে উল্টো স্রোতে। লাথাম এবং ডেভন কনওয়ের উদ্বোধনী জুটি থেকে চলে আসে ৬৭ রান। ৪৯ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লাথাম।

এরপর কনওয়ের সাথে যোগ দেন উইল ইয়ং। দারুণ সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন কনওয়ে। ইয়ং আউট হয়েছেন ৭৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে। কনওয়ে অবশ্য ছিলেন সাবলীল। দারুণ কার্যকরী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া হয়নি। ১০৫ বলে ৯১ রান করেন কনওয়ে।

শেষ দিকে দলের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ড্যারিল মিচেল। আর কোনো বিপদ হতে দেননি দুজন। ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড।

ভারতের হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা।