টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় সার্কেলের লড়াইয়ে দুই দল প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে
দুই দলের জন্য এই দুই ম্যাচের সিরিজ অতি গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে দুই দলেরই। সেজন্য দুই টেস্ট ম্যাচ থেকে পূর্ণ ২৪ পয়েন্টে নজর থাকবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রত্যাশা করা যায় ২২ গজে লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি। মাঠে নামার আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে নজর দেয়া যাক।
১৪
দুই দল এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্ট মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ১২ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশ কোনো ম্যাচে জয় পায়নি। তবে ড্র করেছে দুইটি। ৫৮৩/৭
মুখোমুখি লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বোচ্চ ৫৮৩ রান করেছে। ৭ উইকেটে তারা এই রান করেছিল ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান ৩২৬। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামেই এই রান করেছিল স্বাগতিকরা।
৫৩
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৩ রানে অলআউটের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এছাড়া আরো দুইবার একশর নিচে (৮০ ও ৯০) অলআউটের রেকর্ড আছে শান্তর দলের।
১১৫৩
২০১৭ সালে রান উৎসবে পরিণত হয়েছিল পচেফস্ট্রুম টেস্ট। সেবার ১১৫৩ রান হয়েছিল উইকেটও পড়েছিল ২৯টি।
২৫৪
সবচেয়ে বড় জয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ২৫৪ রানে জিতেছে ব্লমফন্টেইনে। যা দুই দলের মুখোমুখির সবচেয়ে বড় জয়। ইনিংস ব্যবধানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আরো সাতবার ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া রান ব্যবধানে হেরেছে তিনবার। যেখানে সবচেয়ে বেশি ৩৩৩ রানের ব্যবধান।
৭৪৩
দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন গ্রায়েম স্মিথ। ৮ ম্যাচে ৯ ইনিংসে স্মিথের রান ৭৪৩। গড় রান ৬৭.৯১। ২৩২
স্মিথের ব্যক্তিগত ২৩২ রানের ইনিংস সর্বোচ্চ রান। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে স্মিথ এই রান করেছিলেন ২৭৭ বল মোকাবেলায়। ৩৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ইনিংসটি।
৩
হাশিম আমলা দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এছাড়া স্মিথও হাঁকিয়েছেন সামন ৩ সেঞ্চুরি। এছাড়া সেঞ্চুরি আছে কেবল গ্যারি কারস্ট্রেন (২) ও ডিন এলগারের (২)।
৩
দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ রফিক সবচেয়ে বেশি ৩টি করে ডাক পেয়েছেন।
৩৩০
এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ডিন এলগার। ২ ম্যাচে ৩ ইনিংসে এলগার করেছেন ৩৩০ রান। গড় রান ১১০.০০।
৩৫
পেসার মাখায়া এনটিনি দুই দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৫ উইকেট পেয়েছেন। ৮ ম্যাচে ১৬ ইনিংসে ২.৫৪ ইকোনমি ও ১৬.৩৭ গড়ে এই সাফল্য পেয়েছেন এনটিনি।
৭
কেভব মহারাজ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। দুই বার ৭টি করে উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। ২
পাঁচজন বোলার দুইবার করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। যেখানে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আছেন কেবল সাকিব আল হাসান। এছাড়া প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে আছেন পল অ্যাডামস, কাগিসো রাবাদা, জ্যাক ক্যালিস ও কেশভ মহারাজ।
১৬
কেশভ মহারাজ সিরিজে ১৬ উইকেট পেয়েছে একবার। ২ ম্যাচে ১২.১২ গড় ও ২.৩৩ ইকোনমিতে এই রান করেন। ৪১৫
৪১৫ রানের ঐতিহাসিক উদ্বোধনী জুটি আজও সবার উপরে। ২০০৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধনী জুটিতে গ্রায়েম স্মিথ ও নীল ম্যাকেঞ্জি ৪১৫ রান করেছিলেন।
৪২৯*
অবিচ্ছিন্ন ৪২৯ রানের জুটি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান। ২০০৩ সালে জ্যাকস রুডলফ ও বোটেয়া ডিপেনার ৪২৯ রান করেছিলেন। ১০
মুশফিকুর রহিম ১০ টেস্ট খেলে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি নিজের কাছে রেখেছেন।